হে প্রিয়া মোর বধূ তুমি নিশিথ রাতের বন্ধু,
তৃষিত প্রাণে পিয়াস তুম্বি বিশাল বারিধি সিন্ধু।
রক্তিম আভা কনক কিরীট অঙ্গে তোমার পরিয়া,
বাসর ঘরে লাজুক লতা হেসে নিয়েছিলে বরিয়া।
কুন্তল তিমির নীহারিকা সে নভে অম্লান হয়ে,
রাতে চন্দ্রিমা মুক্তা ছড়ায় তোমার জ্যোতি লয়ে।
ঢল ঢল ভারে অঙ্গ ঢালিয়া চকিতে এ পথ বেয়ে,
কল্পনার জাল বুনেছি মম তোমায় বধূরুপে পেয়ে।
এহেন মনে রং বেরঙের প্রেমের কবিতা লিখি,
পাশে নেই তুমি চারদিকে শুধু তোমারি ছবি দেখি।
না পাওয়ার সেই বেদনা তব কেঁদে কেঁদে শুধু মরে,
সব কিছু মোর করিয়াছি দান তোমার ভূবন তরে।
কেতক-কেতকি কাঁদে দূর শাঁখে শিহরে শিহরে বসি,
পাতা বুঝি হায় ঝরে ঝরে যায় আপন মনে খসি।
মাধবী লতা গড়িয়ে পড়ে একে অন্যের 'পর,
নির্বাক নয়নে চাহি কাঁদে দুঃখে যত সরোবর।
ভোরের হাওয়ায় শুনিতাম যবে সেই রাগিণীর সুর,
থেমে গেছে হায় মরমী ব্যথায় গেছে ছুটে বহু দূর।
বাদল হারা বর্ষা আজি থেমে গেছে পথ প্রান্তে এসে,
মরন্মুখ যাত্রি আমি ফিরে চলি তাইঅশ্রুতে ভেসে।
হয়তবা দেখা পাব তোমায় এ আশা বুকে বেঁধে,
মুসাফির আজি ফিরে চলি আকুল নয়নে কেঁদে।
কত নদ-নদী গিরি বন শত পারায়ে এসেছি কভু,
মম কণ্ঠের ফুল মালা খানি ছিঁড়িয়া গিয়াছে তবু।
তোমার স্মৃতির মালা খানি ছিঁড়িয়া গিয়াছে হায়,
কাঁদিছে আজি পথের ধূলায় তব পড়িয়া লুটায়।
হে মোর গানের সাথী,
বলেছিলে,কবি হবে তুমি যদি বীণার তার বাঁধি।
বেঁধেছি তার এস বধূ ফিরে এসো মোর বুকে,
লাইলি-মজনু সম বাঁধিয়া রাখি মনের মত সুখে।
এসেছে আবার সেই বৈশাখী,
লেখনী তুলি দিন-মান ধরি তোমারি ছবি আঁকি।
কবি আমি শিল্পী আমি অই দূর নীহারিকা পুঞ্জে,
কোকিলের সুরে ডেকে ফিরি পৃথিবী শাখা কুঞ্জে।
দিকে দিকে ঢেও খেলে তনু সুরের কুহেলি জাগে,
ঝরে ফুল শত যত অবিরত জীবন কুসুম বাগে।
হাহাকার আজি পাষাণ বুকেতে মাথা কুটে মরে,
নিঃশেষে তাই মিশিছে হৃদয় শুধু তোমার তরে।