অশ্রুতে মোর নদী বয়ে চলে দূর সাগরের পানে,
সুর হয়ে আর ঝরে না'ক তাই চলে গেছ অভিমানে।
চন্দ্রিমা চাঁদ হয়েছিল মলিন তোমার বিদায় ক্ষণে,
দিন মনি তাই লুকিয়ে মুখ কেঁদেছিল আকুল প্রাণে।
বেহেস্তের দ্বারে হুরীরা কেঁদে কেঁদে হয়েছিল সারা,
ফেরেস্তারা কভু করেনি স্তব হয়েছিল পাগল পারা।
ফুল কাননে ফোটেনি কুঁড়ি হাসেনি'ক বিশ্ব ধরা,
অলিরা আসেনি মধু নিতে কেঁদেছিল অপসরা।
ওগো খামখেয়ালী মেয়ে,
বাদলের দিনে এসো হে তুমি নীলাকাশ মেঘে ছেয়ে।
নামেনি বাদল নভে ফিরে গিয়েছিল মিকাইল,
খোদার দরবার কেঁদেছিল শোকে রসনা দীল।
তোমার খোঁজে চলেছি আমি বাতাসের রুপ নিয়ে,
নিঃশ্বাসে চলেছি তোমার কাছে দানব শক্তি পেয়ে।
পলে পলে আমি শয়নে স্বপনে এঁকেছি যার ছবি,
জীবন পথে হারালেম তাঁরে আমি যে অভাগা কবি।
কলঙ্ক কালি শুকায়ে ভাষার চিত্ত আজি শূন্য,
ছিনিয়ে কমল বিশ্ব হাসে তব সে নাকি ধন্য।
জীবন বোঝা বহিতে নারি এছিল ললাটে লেখা,
অশ্রুতে মোর গিয়াছে মুছি তাঁরি সে পদ রেখা।
মাঝে মাঝে এসে দেখে যাও তুমি তোমারে পাইনা,
কখনো কি হয় মনের পাতা ঝক ঝকে সে আয়না।
পথের ধারে হিজল তলে তুমি আনমনে চুল খুলি,
মিশে হাওয়ায় পাওয়ার আশায় ছুটে যাই আজ চলি।
ওগো প্রিয় মোর বাসনা,
ছুটে চলি আজো স্রোতস্বিনীতে মম চিরচারী রসনা।
আসিলে বসন্ত যাও ফুটিয়ে ছড়িয়ে ফুলের গন্ধ,
দেখা দিয়ে যাও চলে ওগো নিশিথ রাতের বন্ধু।