আধুনিক গীতি কবিতার পথিকৃৎ বিহারীলাল।তিনি বাং
লা কাব্যকুঞ্জে ভোরের কোকিল।বিহারীলাল সম্পর্কে এই
মন্তব্য গুলো আবেগের বহিঃপ্রকাশ নয়,তা একান্তই বাস্তব।যদি বিহারীলালের যুগ ও মানস বিশ্লেষণ করি
তাহলে উক্তির সার্থকতা খুঁজে পাব।বাংলা কাব্য জন্মলগ্ন
থেকেই গীতি সুরে ঝংকৃত।শুধু গীতি সুর থাকলেই গীতি কবিতা হয়না।গীতি কবিতা একলা কবির কথা,
কবির আত্মভাবের কথা।গিতি কবিতায় ব্যক্তি জীবনের
ব্যথা,বিরহ,আনন্দ বেদনা সীমিত পরিধির মধ্যে করুণ
অথবা মধুর হয়ে প্রকাশ পায়।আধুনিক গীতি কবিতা
একান্তই কবির ব্যক্তি হৃদয়ের ফসল। ব্যক্তি অনুভূতিই
আধুনিক গীতি কবিতার প্রাণ।বিহারীলালের হাতেই
সর্ব প্রথম আত্মভাবের উদ্বোধন ঘটে।তাই তিনি আধু
গীতি কবিতার পথিকৃৎ।গীতি কবিতায় কবির বীণায়
এক সুরে একটি ভাব পরিস্ফুট হয়।কবি মনের বেদনা
বা আনন্দ প্রকাশের জন্য কবিতা লেখেন।স্রোতার রিদ
য়ে তা গভীর ব্যঞ্জনায় বন্দিত হয়।বাস্তব প্রয়োজন,
লোকরঞ্জন বা লৌকিক বিশ্বাস আধুনিক গীতি কবি
তার ভাব বলয় নির্মাণ করেনা।কবি আপন মনে গান
করেন,শ্রোতারা তা কান পেতে শোনে।গীতি কবিতার বৈশিষ্ট্য তাই।বিহারীলাল গেয়ে উঠলেন,
'সর্বদাই হু হু করে মন
বিশ্ব যেন মরুর মতন
চারিদিকে ঝালাফালা
উঃ!কি জ্বলন্ত জ্বালা
অগ্নিকুন্ডে পতঙ্গ পতন।'