স্থানীয়রা ব্যাখ্যা করেন মীর মশাররফ, কাঙ্গাল হরিনাথ এবং লালন নিজে হচ্ছেন 'তিন পাগলে হইল মেলা নদে এসে'র তিন পাগল ( তাদের তিনজনের বন্ধুত্তের বেশ কিছু গল্প ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে )। কিন্তু গানের সংরক্ষক ও বিশ্লেষকরা বলছেন এই তিনজন হলেন সিরাজ সাঁই এর পর লালন যে তিনজনের ভাবাদর্শ গ্রহন করেছিলেন সেই তিনজন। তাদের যুক্তি গান্টির শেষে লালনের উল্লেখ করে দেয়া তিন নাম 'পাগলের নামটি এমন
বলিতে ফকিল লালন ভয় তরাসে।
চৈতে নিতে অদ্বৈয় পাগল নাম ধরেছে।' চৈতে হলেন শ্রী চৈতন্য , আর বাকি দুজন তার শিষ্য । এমনও হতে পারে লালন তার তিনশ বছর আগে আসা চৈতন্যের তিনজনের সাথে তার সময়ের তিনজনকে মিলিয়েছিলেন। যা হোক একটা বিষয় জানতে ইচ্ছে করেনি, লালন কোন ধর্মের মানুষ হয়ে জন্মেছিলেন। ধর্ম যে তাঁর কাজেই সেত লালন নিজের জীবন দিয়ে বুঝিয়েছেন। তার গানেই তার জীবনের গল্প আছে। কিন্তু লালন নিয়ে যত গবেষণা সবখানেই এ নিয়ে বিপুল আগ্রহ গবেষকদের হিন্দু না মুসলমান ? দরকার কি যে নিজেই জানাতে চাননি তার পৈত্রিক ধর্ম পরিচয় ... কি প্রয়োজন কর্মের ধর্ম রেখে তাই খুঁজতে যাবার !!!