চাঁদটা আজ নিয়ন বাতির মতো
ঝকঝকে ফকফকে আলো জ্বেলেছে।
আমরা বসে আছি তোমার ফেরার আশায়
বসে আছি আলো ঝলমলে পূর্ণিমা রাতে
তোমায় বুকে জড়িয়ে একটা চুমো খাবার আশে।


তোমার কি মনে আছে সেই রাতের কথা?
চাঁদের আলো দেখতে দেখতে হাতে হাত রেখে
বলেছিলে আমাদের যেন চাঁদের মতো
ফুটফুটে একটা পরী আসে ঘরে,
নামও ঠিক করেছিলে জোছনা।
দেখো তুমি দু চোখ খুলে তোমার জোছনা
চাঁদের আলোর মতোই আলো জ্বেলেছে ঘরে।


তুমি তো আমার কাছে বেশি কিছু চাউনি
শুধু চেয়েছিলে আকাশে চাঁদটা যখন  
খিল খিল করে হাসে সেই হাসি দেখতে দেখতে
জোছনাকে সাথে নিয়ে পার করে দেবে যুগের পর যুগ।
দশ বছর পর ঘর আলো করে জোছনা
ঠিকই এলো আমাদের মাঝে।
হঠাৎ জন্ডিস নামক এক অমাবস্যা এসে জোছনাকে
ছিনিয়ে নিয়ে গেল আমাদের কাছ থেকে।


জোছনা চলে গেলো আমাদের রেখে।
সেদিন তার নিথর দেহ দেখে কান্না করার কথা
ভুলেই গিয়েছিলাম আমি, যেন শোকে
পাথর হয়ে গেয়েছিলাম। তোমার জোছনাকে
বুকে জড়িয়ে একটা চুমো খেতে পারিনি,
তুমিও দেখতে পাড়নি চাঁদ মুখ খানি তার।


জোছনা কি আবার আসবে ফিরে আমাদের মাঝে?
পাড়বো কি তাকে বুকে জড়িয়ে আদর করতে?
জানি আসবেনা, ফেরার কোন পথ নেই।
তবুও বসে আছি অন্য কোন জোছনা হয়ে
তার ফেরার আশায়।