ওরে কাল-বোশেখের ঝড়,
ছন্নছাড়া কর তুমি মানুষের আবাস স্থল,
অতঃপর, ঝুড়ো হাওয়ায় হুড়মুড় বৃষ্টিতে
দাও তুমি সব কিছু ভাসিয়ে।
প্রতিটা মানুষের আশা,
যেন হোক তার নিরাপদ একটা বাসা,
কত মানুষের স্বপ্নকে তুমি কর হরণ,
তাইতো সকল বাঁধা মাড়িয়ে,
দুঃখকে করে নিতে হয় বরণ।
নীড়-ছাড়া কর তুমি শত পক্ষীকুল,
কি বা কার ক্ষতি করেছিল তারা
জীবনে চলার পথে করেছিল কি
করেছিল কি কখনো ভুল।
কত মাটির ছেলে, শত কসরত করে
ফলায় মাঠ-ভরা কত মাটির ধন,
অশ্রুসিক্ত হয় মোদের দুচোখ
ঝুড়ো বাতাশে তছনছ হয় যখন।
ঐ মাঠে বিচরণ করে কত অবলা চতুষ্পদ,
হটাৎ, যখন ছুটে চলে ঝুড়ো বাতাশ,
কখনো বা গাঁছের মগডাল ভাঙে,
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে বজ্র নামে,
ক্ষীপ্ত তখন আকাশ।
কখনো বা কারো মাথায় কিংবা
ঐ পশু গুলোর পিঠে,
নিমেষেই হারায় কত প্রাণ
খালি হয় কত মায়ের বুকের ধন।
পরন্ত বিকালে, সন্ধ্যার কাছাকাছি সময়ে,
ছুটে চলে কালো গম্ভীর মেঘের
ওপর দিয়ে কত বলাকার দল,
হটাৎ, ঝুড়ো বাতাশে, তারা
দিগন্ত হারিয়ে নিচে নেমে পড়ে
আর বল পায় না, তাদের ক্লান্ত পাখাতে।
তারপর, কি হয় জানেন?
ভেঙে লুটিয়ে পড়ে কত ঘর-বাড়ি,
হয়ত চাঁপা পড়ে, নিভৃত কোণে লুকিয়ে
থাকা সেই বলাকাটি।


কিন্তু তোমার নিষ্ঠুরতা অত বেশী নয়,
যতটা স্বার্থপর বন্ধুর হৃদয়।
ঝুড়ো বাতাশ যে নিষ্ঠুর হয় সে তো সবাই জানে,
যখন কালো মাঘ আসে, সে তো
আগাম সংকেত জানিয়ে,
জাতে মানুষ, সজাগ ও সচেতন হতে পারে।
আর আপনি জানেন কি?
স্বার্থপর বন্ধু হৃদয়ে আসে ভালো মানুষের ছলনা হয়ে,
অবশেষে, মনটাকে ভেঙে, সর্বশান্ত করে
ফেলে রেখে চলে যায়, দুর প্রবাসে।