আবেগটাও দুরন্ত হতে পারে

কাছে আয়-
কতোদিন দেখিনা দখিন হাওয়া
নারকেলের চিড়ল পাতায়
দুলে ওঠা বাতাসের মতো;
ফুঁ দেইনি তোর উড়াল চুলের
দীঘল শ্রাবনে।
কতোদিন পলাশের পাঁপড়িতে আর
জল ছিটিয়ে রাখবো খনে বল?
লাল টিপ কালো হলো
তোর ঐ সিঁথির কপালে।
কতোদিন অপেক্ষা করবো বিকেল?
সোনালি রোদের জলে
স্নান হবো কবে?
কবে হবো কবিতার মহা বরিষণ!
কবে নেবো ও দেহের মাটি সোঁদা ঘ্রাণ!
পরীনির; জলকেলী রাত!
কাছে আয়
ছুটে আয় আরো আরো কাছে
যেরকম ছুটে আসে বোশেখের ঝড়;
খরস্রোত, সুবলং পাহাড়ের ঢল।
সেরকমই ছুটে আয় পাপুয়া দ্বীপের থেকে
কোনো এক প্রভাত পুলিনে,
দ্রাক্ষাকুঞ্জবন, গৃহবাস ছেড়ে।
ছুটে আয়- ছুটে আয়-
পুড়ে ফেলি আজ সব ঘুণ ব্যবধান;
বালিয়াড়ি মরীচিকাগুলো,
বিভেদের কপট পোড়াই
সিগ্রেটের মতো দেশলাই জ্বেলে।
জানালার কাঁচের মতো ভেঙে ফেলি যতোসব
বিধি আর নিষেধের বেড়া।
চুম্বনে সিক্ত করি মহাকাল,
সঙ্গম ক্লান্ত হই জন্মে জন্মে পুনর্ভব,
প্রজন্মে ভরে তুলি,
পৃথিবীর শস্যহীন অনাবাদী দেহ।
কাছে আয়-
কাছে আয় অবিরাম দুরন্ত আবেগে,
কাছে আয়, আরো আরো কাছে।
চেয়ে দেখ, দু'চোখে আমার আজো
আসমুদ্র তৃষ্ণার স্রোত খেলা করে।
কতোকাল আর আটকে রাখবি
এই চাতকের, বিপন্ন বিলাপ?

-মাসুদ আলম বাবুল
৬.৫.২০ পটুয়াখালী।