বাদল দিনের মাদল বরষায়
হঠাৎ বৃষ্টি চলে এলে
ইচ্ছে হলো লিখে ফেলি
বৃষ্টির কবিতা।
মৃদু জ্যোৎস্নার মতো ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মাঝে
দোল খাচ্ছে অবিনীতা
কুমারি বাতাস।
ছোটো ছোটো পাতিহাঁস
পালক দোলায় বৃষ্টিময় অতনু মাটিতে।
ভাবছিলাম তোমার বৃষ্টিভেজা
কুন্তলিত মুখশ্রী নিয়ে
লিখে ফেলবো একটি অনবদ্য কবিতা।
কিন্তু হঠাৎ রোদ উঠলো
ঝলমলে কড়কড়ে রোদ
বৃষ্টি গেলো উবে।
হাঁসগুলো রোদে পাখা ঝাড়াচ্ছে
চিকচিকে রোদ পড়ছে
তোমার মুখশ্রী; অধর-নয়নে।
এবার ভাবনাটা পাল্টে নিলাম-
রোদ পড়েছে প্রিয়ার খোপার চুলে,
রোদ পড়েছে সিক্ত আঙিনায়,
রোদ পড়েছে মেঘের চিবুক চিড়ে
কোন তরুণীর নগ্ন রাঙা পায়।
রোদ পড়েছে পড়ুক নাহয় আরো
না হয় ঝরুক বৃষ্টি থরো থরো
ভিজুক তোমার নয়ন ও অন্তরও
নামুক না হয় আরো তীব্র বেগে
হয়তো তুমি যাবে খানিক রেগে
রোদ বৃষ্টির কি পাগলামো হলো
পুড়িয়ে এবং ভিজিয়ে দিয়ে গেলো।
সাদা হাঁসের পালক পড়ছে ঝরে
আহা! ভীষণ লাগতো তোমায়
কালো কেশের পড়ে।
এমনি করে বৃষ্টি রোদে ভিজে
সত্যি বলছি সত্যি তোমায়
ভালো লাগে কি যে!
এমনি করে বৃষ্টি নামে নামুক
যুগল হংস হয় যদি হোক কামুক।
শামুক ইচ্ছে জাগুক রিরংসায়
বাদল দিনের মাদল বরষায়।
-মাসুদ আলম বাবুল
২০.৭.২০ বগা ঘাট, পটুয়াখালী।