মেঘরোদ


রোদের সাথে আজকে ছিলো
মেঘের ঘনিষ্ঠতা,
সম্ভবত সন্ধি কিংবা
অন্য একাত্মতা।
পরস্পরের লুকোচুরি রৌদ্রছায়া
কিংবা অভিমান,
মেঘের বোধহয় তাড়া আছে
কোথাওবা  হচ্ছে যাবার ভান?
রোদটা বোধহয় পুরুষ জাতক
সিংহ কিংবা বাঘ,
সেই সুবাদে আমারো কি
মেজাজ খানিক রাগ?
মেঘগুলো তো স্নিগ্ধ কোমল
নিবির ছায়ারানী
মেঘবালিকা, মেঘ রমণী
কোমল হৃদয়খানি।
হঠাৎ দেখি দমকা বাতাস
মেঘের ছিলো প্রচন্ড ব্যস্ততা,
এদিক সেদিকে ছুটোছুটি
কে শোনে কার কথা।
সন্ধ্যা এলে অকপটে
রোদ গেলো পালিয়ে,
অন্ধকারে মেঘকিশোরী
ছুটছে তাড়া খেয়ে।
কোথায় যাবে কোথায় যাবে
ছিলোনা আশ্রয়,
টুবরো টুকরো মেঘেরা সব
পাচ্ছে বুঝি ভয়।
কোথা থেকে ঝড়ো বাতাস
আসলো হঠাৎ ধেয়ে,
বস্ত্রহরণ করতে বুঝি
একাকিনি পেয়ে।
আক্রোশে আর ভয়ের চোটে
কালো মেঘের দল,
আকাশ ভেদী সুচিৎকারে
ফেললো চোখের জল।
বৃষ্টি হলো মেঘের কান্না
বিজলি হলো রোদ,
কাপুরুষ কোন রোদের বুঝি
নিচ্ছে প্রতিশোধ।
মেঘবালিকা পড়লো ফেটে
সারা আকাশময়
বলরো রেগে, এবার আমি
কিচ্ছু পাইনা ভয়।
প্রতিবাদে ঝরালো সে
তীব্র বজ্রপাত,
বজ্রপাতের আগুনে কি
পুড়লো আঁধার রাত?
পরের দিনে রোদ এসে কয়
প্রিয়তমা মেঘবালিকা
তোমায় ছেড়ে থাকতে পারি?
লুকিয়ে কি একাএকা?
স্বেত শুভ্র অল্প দু'য়েক মেঘমালা
নম্রস্বরে কয়,
তোমার সাথে ভালোবাসা
সত্যি হবার নয়।