(শরতের আগমনে)
মুক্ত স্বাধীন বয়ে চলা নদী উপকূল কার না ভালো লাগে!
সেই প্রেক্ষাপট যদি হয় শরৎ কালের,তাহলে তো বিস্ময় নিবিষ্ট উপভোগ্যতা-
দিনের দৈর্ঘ্য কমে গিয়ে রাতের আয়ু বৃদ্ধি পাবে
তীব্র রৌদ্র দহন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে_
শুভ্রতার নির্জাস নিয়ে উপস্থিত হয়েছে শারদীয় উৎসব আমেজের শরৎ কাল।    
শিরি শিরি বাতাসের উচ্ছ্বাস মেখে সাদর সম্ভাষণ জানাতে ব্যাকুল নদী তীরের ধবধবে সাদাটে কাশবন
জীবনের অফুরন্ত রূপ-যৌবন খুঁজে নিতে ক জনেই বা আসে এমন উপকূল তটে
যে আসেনাই সে অনুভব করেনাই জীবনের অনবদ্য নৈঃস্বর্গ_    
অনেক অনেক মানুষ এখনো সঙ্গীবিহীন ঘুরছে ফিরছে
এমন শুভ্রতাও তাদের হৃদয়কে কিছুতেই স্পর্শ করছেনা  
সত্যিই তো !
এমন উপভোগ্যতায় জীবন ঘনিষ্ঠ সত্যসিদ্ধ সঙ্গীও লাগে-    
ভোরের প্রথম প্রহর হিমঝুরি আর বকফুলে মাখামাখি হয়ে পৃথিবীকে জাগিয়ে দিচ্ছে-
ফর্সা আকাশের বুক পটে সাদা মেঘপুঞ্জ সাঁতার কাটছে-
দেখে মনে হয় ওগুলো মেঘ নয়,
কুলফি আইস্ক্রিমের ফালি ফালি সিক্ত কোমল,
জীবনের অন্য রকম উপজীব্য ভালো লাগার আল্পনা আঁকছে শেফালী শিউলির দৃশ্যমান আলো
শাপলা আর শালুকের বিলে কলমি লতা আজ  স্বাধীন স্বাক্ষর করছে হেসে খেলে-
পা বাড়ালেই শাপলার দৃশ্যস্বচ্ছ হাতছানি,
সবকিছু কত্তো কাছে_
আহা কতো সহজেই ছুঁয়ে দেয়া যায়।
হৃদয়ে গেঁথে নেয়া যায়,
মনে হবে যেনো পরস্পরের সাথে নগ্ন মিলনে সাব্যস্ত হয়েছে,
কে যে কার স্তন ছুঁয়ে গভীর প্রণয়ে নিমগ্ন হচ্ছে।
শান্তির উপচয়ে মহাকাল ছুঁয়ে ছাতিমের ছায়ায় আশ্রয় নিবো-
এভাবে এখানেই সন্ধ্যা নামুক।
পাশেই অসংখ্য কলিয়েন্ড্রা বাতাসে দোল খাবে,আর আমি শান্তিতে ঘুমোবো।
সঙ্গী করে নিয়েছি তাই কাব্যকে।
বলেছিই তো সঙ্গীবিহীন উপভোগ করা যাবেনা_    
শরৎ তুমি এলে ভাই আবারও_
তুমি এলে রাত্রিকে দীর্ঘ করতে-
পৃথিবীকে শীতল আবহের দিকে টেনে নিয়ে যেতে
দিনের অল্প আয়ুতে যতটুকু আলো পাওয়া যায় শুধুই মুগ্ধ শুভ্রতা আহরণ করছি।
এসব গ্রামীণ জীবনের গল্প বললাম_
কর্মব্যস্ত কৃত্রিম হৃদয় হৃদয়ীনীর শহরে  
গগনশিরীষ,
পাখিফল,
ছাতিম,
শিউলি
শেফালী
বকফুল
মিনজিরি
কলিয়েন্ড্রা
হিমঝুরি
পান্থপাদব কি করে পাবো বলতো_
তাই গ্রামীণ জীবন কল্পে খানিক ডুব দিলাম।
একদিন গাঁয়ের আদুল দেহের সাদা-সিধে মানুষ ছিলাম।