কুয়াশার ট্রেন সাইঁ সাঁই শব্দে সাপের মতো ফ্যানা তুলে বাতাসে বিষাক্ত বিষ মেখে দেয়
সেই বিষ খেয়ে নক্ষত্ররা মিহি রক্তের মতো লাল তরঙ্গ সঞ্চালন করে
নক্ষত্রের প্রজ্জ্বলিত বুকে কে যেনো বিরহী সঙ্গীতে সুরো তোলে
সেই সুর সারাক্ষণ ছুঁয়ে যায় আকাশ হতে মৃত্তিকায়
মৃত্তিকা হতে আকাশে_
নক্ষত্রের আদি নিবাস মাটিতে হলেও হতে পারে
জন্ম লভ্য বিচরণপট আকাশেই
তার বুকে হিমবাহী সমুদ্র আছে
আছে বায়ুঝড়ের উচ্ছ্বাস দাবানলের উন্মাদনাও
কখন যে কার আগমন ঘটে হুট করে_
আর সব কিছু ঘটতে থাকে নিমিশেই
সেই সুরে সবুজ ধানের খেতে শিরিশিরি আভা নেমে আসলো
নরম শীতের স্পর্শে ঝিঙ্গের মাচায় প্রশান্তির হাবুডুবু দোল খেতে শুরু করলো
সেই আওয়াজে বাতাসো স্নিগ্ধ গন্ধ ছড়িয়ে দিলে এপারে ওপারে
মুগ্ধতায় হৃদয়ে জমে থাকা ব্যথাগুলো মুক্ত তেপান্তরে ছড়িয়ে যাচ্ছে নক্ষত্রের আহ্নিক স্রোতে
মনে হয় আজ হৃদয়ে নক্ষত্রের হাট বসেছে
একে একে খুলে পড়ছে নক্ষত্ররা আমার জমিনে_
অথচ জমিনে জল নেই
সব জল শোষণ করে নিচ্ছে নাক্ষত্রিক ব্যথারা
পৃথিবী তোমাকে বিলাবোনা আর পুষ্প শোভিত হাসি
সব আনন্দ আঁধারে হারিয়ে যাচ্ছে
ভীষণ অন্ধকার ভীষণ ভীষন!!
কার বুক খালি হয়েছে খুনে ধর্ষণে
সবাই জানে_অথচ প্রতিবাদ নেই বিক্ষোভ নেই
কার স্বপ্ন ভেঙ্গেছে এক কোটিবার
সে ছাড়া কেউ জানতে চায়নি কেউ না!