এই শহরে নেশা গ্রস্থ মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী
তিন বেলার আহারের চাহিদা যেমন তীব্র
নেশার প্রতি চাহিদাও ঠিক তেমনি তীব্রতর
একেক জনের নেশার বিষয়বস্তু একেক রকম
যাদের আয় রোজগার কম তারা বিড়ি অথবা কম দামী ব্রাণ্ডের সিগারেট টানে
গাঁজা ইয়াবা বাংলা মদের প্রতিও বিশেষ চাহিদা পরিলক্ষিত
যাদের আয় রোজগার বেশী তারা ভালো ব্রান্ডের সিগারেট ক্রেতা-
ইয়াবা গাঁজার পাশাপাশি দামী মদ হুইস্কি ব্যাড সিক্সটি নাইনেও আসক্ত কেউ কেউ
যদি বয়স বিবেচনায় আনো_
বয়স কোনো বাঁধার দেয়াল নয়
এই শহরের ১০/১২ বছরের কিশোর কিশোরীকেও অবাধে নেশায় নিমগ্ন হতে দেখেছি-
মোট কথা,ঢাকা শহরের সবচেয়ে বেশী ব্যবসায়িক লেনদেন ঘটে এই নেশাগ্রস্ত মানুষগুলিকে দিয়ে
যে শহরের অধিকাংশ মানুষই নেশাগ্রস্ত
এবং তন্মধ্যে বহুলাংশই প্রফেশনাল-
সেই শহরে অন্ধকারের উদয় হওয়াই স্বাভাবিক
সেই শহরে ক্যান্সার আলসারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আক্রান্ত হওয়াও অতি স্বাভাবিক ঘটনা বলে বিবেচিত_
সেই শহরে খুন গুম ছিনতাই মারামারি হাতাহাতি রেশারেশি ঠকবাজি ধর্ষণ লুট দালালির প্রবনতাও মাত্রাতিরিক্ত আকারে ছড়িয়ে যাওয়াও অতিরঞ্জিত কিছু নয়
এ জন্য শহরের মানুষগুলোর মধ্যে খুব একটা আন্তরিকতা দেখা যায় না।
মনুষ্যত্বহীন অথবা অল্প মনুষ্যত্ববান মানুষগুলো সব সময় আত্নকেন্দ্রিক চেতনায় নিমগ্ন থাকে।
পরিশেষে একটি কথাই বলবো_
নেশা গ্রস্থ আত্নকেন্দ্রিক শহরের মানুষগুলো মানবিকতার তাগিদ অনুভব করায় বরাবরই অনভ্যস্ত।
যারা এই শহরেই বাসিন্দা তারা খুব ভালো করেই জানেন।
এই শহরে মৃত মানুষের লাশ দেখেও কেউ আবেগতাড়িত হয়ে কাঁদেনা।আপন গন্তব্যের উদ্দেশ্য পা বাড়ায় একবার চোখ ফেলেই।