জীবনের যাপন চক্রে হারিয়ে ফেলার গল্পই বরঞ্চ বেশি_
যতটুকু হারিয়ে যায় ক্ষণকালে
তার আংশিক অংশই ফিরে পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে-
এসব নিয়ে আফসোস করতে নেই
আফসোস শুধুই পোঁড়ায়-
পাহাড়ের মতো অভেদ্য বিষয়বস্তু রচনা করে যাপন পথে
সেই প্রজ্জ্বলন উত্তাপ হৃদয়ে ধারণ করোনা_
হৃদয় একবার যাকে ধারণ করে
তাকে আর কখনোই প্রত্যাখ্যান করতে সক্ষম হয়ে ওঠেনা।
বেঁচে থাকাটা যতটা গুরুত্বপূর্ণ
নিজেকে দুঃশ্চিন্তামুক্ত রাখাটাও ততটাই_  
তার চেয়ে বরং চিল বা কচুরিপানার ক্লোন হয়ে বাঁচো-
এদের বেদনা কেউ কখনো জানতে পারেনা
অথচ এরা সকলকে জানে-
খোশমেজাজে ঘোরে ফেরে জলের স্রোতে মহাশুন্যের অববাহিকায়।
খুব বেশী বেদনা অনুরনিত হলে নদীর কাছে চলে যাও-
শাখা নদীদের বেদনা কাহন নিশ্চয়ই বুঝেছো
কিভাবে নদীর দেহকে কেটে কেটে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে
এক সময় প্রকৃত নদী মাতার হত্যাকারী হয়ে ওঠে_
অথচ অই নদীই ঠাই দিয়েছিলো তাহাদের-
নদী তবুও অবিচল নিঃস্বার্থ নিবেদনে-  
না পাওয়ার বেদনা হৃদয়ে লালন করে জীবনকে ক্ষয়ে ক্ষয়ে বিক্ষয় করে কি লাভ_
সময় তো ক্ষুদ্রঋণ।
নিঃস্বার্থে বিতরন করো হৃদয় সমস্ত জল-
সেই জলের মতো জীবন বৈভব বেছে নিক কেউ,যার আধিটুকুও নেই_
পাওয়া না পাওয়াকে জীবনের অতি স্বাভাবিক ঘটনা ধরে নিই
পৃথিবীকে মুক্ত নদীর প্রেক্ষাপট ভেবে জীবনকে উন্মুক্তভাবে উপভোগ করি_
অচেনাকে বুকে টেনে নিই
ঠিক অই নদীর মতন-
নিজেতে নিমগ্ন হয়োনা হে
মানবিক মানুষ হয়ে বাঁচো।