সোনালীর তরে
এম এ  মাসুদ  রানা  


সোনালী,
বিচিত্র বিশ্বাসে ভরা নীল আকাশ
বৃষ্টির জলে ভেজা মাঠ-ঘাট।


সোনালী,
মনে পড়ে অতীতের কথা!
নাকি, দিব্যি ভুলে গেছো সব অতীত?
এক দোরে বাঁধা ছিলাম দু'জন,
প্রেমে মাতাল ছিল দু’টি মন।
তোমার এমন কি হল?
তুমি এত ভূলোমন হলে কেন?


সোনালী,
মনে করে দেখো
সেদিন ছিল আমার জন্মদিন।
আচ্ছা কিভাবে তুমি ভুলে যাও
এমন মধুর দিনের মধুর ক্ষণ!
তুমি কি অভিমান করেছো?
নাকি রাগ করেছো?
আমার সাথে কি আর বলবেনা কভু কথা?
আমি তো তোমার রাগ ভাঙাতে জানতাম।
তবে আজ কেন পারছিনা বলো?
নাকি আমার তরে হয়ে গেছো চিরতরে হৃদয়হীনা?


সোনালী,
মনে পড়ে কি তোমার?
গ্রামের মেঠো পথে চলা, যেন হাওয়ায় উড়ে
চলছিলাম আমরা, অজানা দূরে গগণ পুরে।
পথ থেকে পথের প্রান্তরে ছিলনা তো অন্ত!
তোমার হাত ধরে চির সবুজ মাঠে হাঁটা।
হাঁটছিলাম যখন ক্লান্তিহীন, উৎফুল্ল মন,
তুমি কি করে ভুলে গেছো সেদিনের উষ্ণ আলিঙ্গন।
তোমার চোঁখে মুখে ফুটেছিল অদ্ভুত এক অনুভূতি
তবে কেন আজ এত উদাসী আমার তরে জানাবে কিছু।


সোনালী,
বন্ধু সকল বলে তুমি নাকি হয়ে গেছো পর?
তুমি নাকি এখন  অন্যেকে সাঁজিয়াছো তোমার বর?
তাই তো এখন এই আমায় করেছো পর।
আমি বিশ্বাস করিনা, বিশ্বাস করিনা,
আমি বিশ্বাস করতে পারি না!
কি করেই বিশ্বাস করি বলো?
তুমি তো আমায় পাগলের মত ভালবাসতে
সময়ে অসময়ে, বেলা অবেলায় কাছে আসতে।
এসব কি কখনো মিথ্যা হতে পারে?


সোনালী,
মনে পড়ে নাকি তোমার?
বর্ষার জলে করছিলে খেলা
পাতায় পাতায় ছিল প্রজাপ্রতির মেলা
বোঝে উঠতে পারি নি কখন নেমেছিলো বেলা।
কি করে ভুলে গেলে তুমি?
কেনই বা তোমার এমন স্মৃতি ভ্রম হল?
আমায় একটু বলবে কি তুমি
সেই স্মৃতিতে পুঁড়ে মরি আমি।
স্বরনালী সুখ আর সিগ্ধ শ্বাসে
তোমার কথা যেন প্রাণে বাঁজে
কাছাকাছি ছিলে তুমি বলেছিলে রবে সারাক্ষণ
তাই তো হৃদয়ে চলে আমার বীরহের রণ।


সোনালী,
হয় তো বা তোমার ব্যস্ততার কারণে ভুলে আছো আমায়
ব্যস্ততায় থাকার তরে স্বরণ করো নাই মনে হয় তাই।
নয় তো বা মহাসুখে আছো অন্য কোন এক নতুন গগণে
তাই তো ভুল করেও নিয়ে আসোনি, আমায় মনে।
আমি হতে পারিনি, তোমার মতো হতে
ভুলতে চেয়েও পারিনি ভুলতে কোন মতে।
তোমায় না পাওয়ার ব্যথা নিয়ে, আমি শুধু রবো
তোমায় হারনোর কথা কভু কাওকে নাহি কবো।