১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রামের মাধবপুরে গ্রামে জন্মগ্রহণ।
দাম্পত্য  জীবন সঙ্গী আবদুল মজিদ সন্তান ২ জন।
বাবার নাম আবদুস সোহবান মায়ের নাম কুলসুম বিবি।
মুক্তিযোদ্ধা, বীর প্রতীক নামে পরিচিত তারামন বিবি।


১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেন।
১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী নম্বর ৩৯৪ বীরত্বভূষণ।
১১ নং সেক্টরে নিজ গ্রাম কুড়িগ্রাম জেলার শংকর মাধবপুরে ছিলেন।
মুহিব হাবিলদার তারামন বিবিকে মুক্তিযুদ্ধে উৎসাহিত করেন।


১১ নং সেক্টরে সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের ছিলেন।
তারামন বিবি সাহস ও শক্তির পরিচয়ে অস্ত্র চালনা শেখেন।
১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তারামন বিবিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তখন অবধি বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়নি।


১৯৯৫ সালে অধ্যাপক ও গবেষক বিমল কান্তি দে প্রথম তারামন বিবির সন্ধান পান।
রাজীবপুর কলেজের অধ্যাপক আবদুস সবুর ফারুকী বিমল কান্তি দেকে সহায়তা করেন।
নারীদের অধিকার কয়েকটি সংগঠন প্রথম তারামন বিবিকে ঢাকায় নিয়ে আসে।
পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি, আলোচনার পর সরকারের নজরে আসে।


১৯৯৫ সালের ১৯শে ডিসেম্বর সরকার তারামন বিবিকে বীরত্বের পুরস্কার দেওয়া হয়।
তারামন বিবির কথা আনিসুল হক রচিত ‘করিমন বেওয়া’ বাংলা নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে পাওয়া যায়।
তারামন বিবি দীর্ঘদিনের অসুস্থা শেষে।
২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বরে পৃথিবী থেকে বিদায় অবশেষে।


রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাজিবপুরের তালতলা কবরস্থানে শেষ সমাধিস্থ করা হয়।
আজ থেকে বাংলাদেশে বীরপ্রতীক তারামন বিবি আর নেই।
তারামন বিবি (৬২) চলে গেছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে।
শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগে না ফেরার দেশে গেল চলে।