কখনো যদি গান গাওয়ার ছলে
একটু মুচকি হাসো,
যদি মুখ লুকিয়ে রাখো দু'হাতের আড়ালে।
সে লজ্জায় লজ্জিত হবো,
প্রেমে পড়বো অকারণে।
কাঠগোলাপের সাথে কথোপকথন,
তৃষাতুর চোখে স্বপ্নবৎ।


কখনো যদি ভাসে মন বেদনার কল্পনায়,
ভেবোনা,
হাঁসাবো গোপাল ভাঁড়ের গল্পে।
নতুবা - খামখেয়ালি নাচবো।
বুক পাঁজরে মুড়িয়ে রাখবো,
দিগন্ত পানে গাইব গান।


কখনো যদি সিক্ত হও আঁখি জলে,
সবই পাপ লিখে নেব নামে।
দূরত্ব আসলে ছদ্মবেশে হাঁটবো পিছুপিছু।
তুফানী হাওয়াতে হারিয়ে ফেলো যদি প্রেমের রথ।
অপেক্ষায় থেকো,
গেঁথে আনবো শিউলী - বকুলের মালা।
সুঁই সুতোয় গাঁথব বলে।


কখনো যদি অভিমুখী হই ফাঁকির শিহরণে,
হারিয়ে ফেলি প্রেম পূজারিণীকে,
পত্রিকায় খবর ছাপাবো।
দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার টাঙিয়ে দেব।
দূরত্বে ঘর বেঁধে লাভ কি বলো?
যদি উষ্ণ ছোঁয়ায় পিষিত নাহয় দেহ।


কখনো যদি দেখা মেলে এক শিশি বিষের,
নাহয় অমৃত সুধা পান করবো।
ঘুড়িতে লিখবো সমবেদনা।
শালিক টিয়ে স্বাক্ষী থাকবে,  
শেষযাত্রায় আঙুলে আঙুলের ছাপ।

কখনো যদি এলোচুল হাসে দখিণা বাতাসে,
মাতোয়ারা হবো ক্ষনে ক্ষনে।
আউলা চুলে ছিটবো কদম ফুল,
দীর্ঘশ্বাসের ঘ্রাণে লেপ্টে নেব কিছু আলিঙ্গন।
দেহ গন্ধে ডুবে ডুবে তলিয়ে যাবো।
ফিরবো না কভু।


কখনো যদি হৃদয় জমে হৃদয় খামের আঠায়,
আংটি পড়িয়ে রাখবো মধ্যিখানে।
ঢেলে দেব মধুকোষ।
পিপড়ার প্রেমে পড়বো আনমনে।
কম্পিত হৃদয় নেব সঁপে।
বুক কেঁপে উঠবে কম্পিত হৃদয়ের রিংটোনে।


কখনো যদি লুকিয়ে পড় তারাদের মিছিলে,
বৃষ্টির রশি ধরে উঠে যাবো।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে চোখাচোখিতে মত্ত হব।
দুষ্টুমিরা চুইয়ে চুইয়ে পড়বে উঠানে।
ভোরেই কুড়িয়ে নেব,
স্মৃতির দেয়ালে বেঁধে কথা বলবো রোজরোজ।