খরা রৌদ্রময় এই দিন,
পুকুরে পানি নেই, খাল-বিলে শুকিয়ে চৌচির।
হাহাকারে কাঁদে চারদিক।
সবুজ বাংলায় যেন নেমে আসলো খরা।


খরতাপে রুদ্ধশ্বাসে ক্ষুদ্র এই গ্রামীণ নগর।
মাঠ ঘাট শুকিয়ে চৌচির পরিত্যক্ত,
কৃষকের বুক ধড়ফড়িয় কাঁদে,
ঘামে রৌদ্রে পুড়ে যেটুকু করেছে,
আজ বুঝি বিলীন হয়ে যায়।
দৌড়ে হেরে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী যেন বিরক্ত বিব্রত তিক্ত।


বালিগুো চিক চিক করে খেলছে।
পা দিলে নিমিষেই ঝলসে যাবে।
টিনের ঘরের চাল গরমে উৎতপ্ত,
কাক শালিকের ঠাই মিলছে না।
গ্রামীণ জীবন হয়ে উঠেছে কষ্টকর, ছন্নছাড়া।
এই খরা রৌদ্রময়ে ক্ষণে ,
প্রিয় মানুষটির পত্র এলো গোপনে।


রোববার।
রাত দেড়টার দিকে,
আকাশ ছিলো স্তব্ধ।
ঝিঝি পোকাও ডাকছিলো না।
বাতাসের হাহাকার ছিলো চারদিক,
রাত যেন ঘোমটাপরা বৌয়ের মতো।
ভেবেছিলাম বৃষ্টি হবে,
হয়নি।


গতরাতে অকস্মাৎ বৃষ্টি নেমে এলো।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জীবন ফিরে পাওয়ার মতো।
বাইরে প্রবল বৃষ্টি,
ঝমঝম করে ঢোলের তালে নাচছে।
ঠান্ডা হাওয়ায় চারদিক মৌ মৌ করছে।
কে যেন ডেকে উঠলো?
বৃষ্টি আয়ছে রে! বৃষ্টি!!
অনেক দিন পর ঈদের চাঁদ দেখলাম।
বৃষ্টির কোমল হাওয়া, স্নিগ্ধতা নিমেষেই ভরে দিলো দেহপিঞ্জর।


লেখাঃ ১৯-০৭-২০১৪