শেষবার যেদিন বাড়ি গিয়েছিলাম।
প্রচন্ড রৌদ্র খরতাপে তোমার বুকটা শোষিত ছিল।
ঘামে ভিজে তোমার শরীর নিস্তেজ ছিল।
হয়রানে নিশ্বাস নিতে তোমার বুক দরফর করছিল।
অযথায় তোমার দেহ মাটিতে লুটে ছিল।
আমাকে দেখে তোমার হৃদয় খুশিতে ব্যস্ত ছিল।
আমি বলিনি কিছুই।
দেখে দেখে শুধু পীড়নে জ্বলেছি পুড়েছি।


শেষবার যেদিন তুমি বৃষ্টিতে ভিজে ছিলে।
তোমার হাতে আমার স্কুল ব্যাগ ছিল।
তোমার সারা গাঁ দিয়ে অঝোরে বৃষ্টির পানি বেয়ে পড়ছিল।
তুমি শীতল হয়ে কাতরাচ্ছিলে।
আমাকে তোমার বুকে শক্ত করে ধরেছিলে।
ঝড়ঝাপটা ধমকা হাওয়া তুমি সহ্য করেছিলে।
আমাকে তখনও তুমি চুমো দিয়েছিলে।
আমি বুঝিনি কিছুই সেদিন।
শুধু দেখে দেখে অনুতপ্তের নির্যাতনে ভুগেছি।


শেষবার যেদিন তুমি নতুন কাপড় কিনেছিলে।
তোমার হাতে অনেকগুলো ব্যাগ ছিল।
এই নিয়ে তোমার মন অনেক খুশি ছিল।
তোমার উপার্জন শত কষ্টেও জয়ী ছিল।
তোমার পড়নে পুরানো রেখার জামা ছিল।
তুমি সেদিনও নিজেকে নতুনত্বে বেধে রেখেছিলে।
আমি ভুলিনি সেদিনের উদযাপন।
আমি নিজে নির্যাতিত হয়েছি শুধু।
বাবা,
আমি তোমার সেই পীড়নে আজ নিজেই পীড়িত।
নিজের স্বাদ আহ্লাদে আজ নিজেই নির্যাতিত।
নিজের সুখ বিলাস উপেক্ষায় জর্জরিত।
বাবা!
আমি তোমাতে, তোমার আদতে, তোমার কর্মের জালেই জরিত।
শুধু,তোমার পদতলে পড়াতে পারিনি আমার দেয়া জুতো।