সত্যরে প্রতিষ্ঠার লাগি,
ক্রমাগত মিথ্যের ব্যবহার দেখি।
মিথ্যেরে প্রকাশের লাগি,
যারপরনাই ভব্যতার বিসর্জন দেখি।


এ বলে "এতো ভীষণ সত্যি,"
ও বলে "রাখ দেখি!
এতো পুরোটাই তোমাদের ভেল্কিবাজি"।
উচ্চকিত শব্দে, ভাষার দুষন দেখি,
সবই হয় পাল্টাপাল্টি।


কেউ বলে তবে,
"দেখা তথ্য, শোনা কণ্ঠ মিথ্যে সবই?
অপরে সদিপ্ত হাসিতে বলে,
"সৃষ্টি কলায় ভরপুর, এজিদের এডিট!
মিয়া তাতেই নাও এত ক্রেডিট?
তৌহিদী জনতার ভিড়ে, সব মুরতাদ দেখি!
সন্নিকটে মিলবে জাহান্নামের টিকিট।"


অসহিষ্ণু চিত্তে কেউ কয়,
"এত মানবিক, সিংহ-পুরুষ, রুহানি পথিকৃৎ
সংগী তার চারখানা প্রাপ্য কিতাবের মারফত।"
অপরে ভেচকায় আর খন্ডায়,
"আদর্শের ঠিকা যার করগত,
তার লীলা হাজার ধ্বংসে, রক্তের দাগে সমাগত।"


নির্মীলিত সত্তা ফ্যালফ্যাল চায় আর ভাবে,  
"বিবেকের কাঠগড়ায় আসামি সবাই
তবু কন্ঠে কন্ঠে মিথ্যা সাজিয়ে যাই।
ঘরে বন্দি অবুঝ শিশু, সঙ্গী রমনীয়-  
তাদের চাপাকান্না নিভৃতে কথা কয়।
স্বার্থের আড়ালে বিশ্বাসী জীবন উপেক্ষিত রয়,
এত কিছুর ভিড়ে, মানবতা নামক আদর্শ লুণ্ঠিত হয়।"


....... জিগাতলা, ধানমন্ডি। বিকেল ৫টা।