এলো হেমন্তিকা
জয়শ্রী কর


মঠো পথে হাঁটছি একা এখন প্রাতঃকাল
আবছা দেখি কুয়াশাতে দিগন্ত নয় লাল।
শিশিরভেজা সবুজ পাতা যেন মুক্তা ময়
অরুণকিরণ পড়লে গায়ে দীপ্ত জ্যোতির্ময়।


লজ্জাবতী ওঠো এবার নেইকো অন্ধকার
পুবে রাঙা সূর্য দেখে পুলক জাগে তাঁর।
গাছের ডালে কিচিরমিচির পাখির কলতান
এবার ওরা ছাড়বে বাসা আহ্লাদে আটখান।


হেমন্তিকার আকাশ যেন সাগরসম নীল
শীতের মজা চড়ুইভাতি হর্ষ অনাবিল।
সবুজ এখন হারিয়ে গেছে সোনালি ধানশিষ
ফুড়ুত ফুড়ুত ওড়ে টিয়া, দোয়েল মারে শিস।


কাশ এখনো যায়নি ঝরে বাতাসে দোল খায়
দাঁড়িয়ে আছে মলিন মুখে ঝিলের কিনারায়।
মায়ের গলার হার হয়েছে একশো আট কমল
বাঁধনহারা আনন্দ তাই খুশিতে ঝলমল।


কদিন পরেই শ্যামাপূজা আঁধার তখন ঘোর
আলোর মালায় ভরবে ভুবন রাত্রি যেন ভোর।
শরৎ এবং শীতের মাঝে হেমন্তিকার হিম
শরীরটাকে তৈরি করে ভাবনা অতঃকিম।