সকালবেলা প্রতিদিনই একলা আমি হাঁটি
বৃষ্টিভেজা মেঠো পথে পায়ে জড়ায় মাটি।
ডেকে ওঠে মধুর সুরে কত রকম পাখি
সবুজ ঘাসে শিশিরকণা কেমন মাখামাখি।


আপন মনে ঘুরে বেড়াই শস্যশ্যামল গাঁয়ে
শুকনো পাতার নূপুরধ্বনি গ্রাম্য বধূর পায়ে।
রাখাল ছেলে যাচ্ছে মাঠে মুখে মলিন হাসি
নিপুণ ফুঁয়ের ছোঁয়া পেতেই উঠল বেজে বাঁশি।

পথের 'পরে বাঁশের ডগা হাওয়ায় গেছে নুয়ে
মৃদু হাওয়ায় শুকনো পাতা পড়ছে ঘুরে ভুঁয়ে।
কুঁড়েঘরের খড়ের চালে লাউ ধরেছে খাসা
বাড়ির পাশে বেগুন গাছে টুনটুনিদের বাসা।


মাঠের ধারে মাচায় ঝোলে কুমড়ো-পটল-ঝিঙে
ঘরের চালে ঝগড়া করে চড়ুই-শালিক-ফিঙে।
হুলো বিড়াল গাদার নীচে খেলছে লুকোচুরি
রান্নাঘরে মা-কাকিমা ভাজছে এখন মুড়ি।