*           গ্রামবাংলার কল্যাণী রূপ
                    জয়শ্রী কর

    মাঠভরা পাকা ধান পাখিদের কলতান
                 শীতল বাতাস,
    কুয়াশায় ঢাকা বন শীতে তরতাজা মন
                 ছাতিম সুবাস।
    শিশির পড়েছে ঘাসে মুকুতার কণা হাসে
       চাষিরা লেগেছে চাষে খুশি খুশি মন,
    ডেকে ওঠে কবুতর গায়ে পড়ে রবি-কর
       ঘুচে যাবে সব দুখ, সুখের জীবন।
    গোছা ধরে বাঁধে ধান এক সুরে ধরে গান
                 গোলা যাবে ভরে,
    সারাদিন করে কাজ গায়ে আছে শীত-সাজ
                  মুখে হাসি ঝরে।


    শেফালি-সুবাস মিঠে গোবর জলের ছিটে
                   উঠবে যে ধান,
    ফসল ওঠার মাসে ধনদেবী ঘরে আসে
                  ভরে মন প্রাণ।
    ঘরে ঘরে পূজা করে মাকে ডাকে করজোড়ে
         দেবীর আশিস ঝরে অমেয় ধারায়,
    যতনে সাজিয়ে থালি মার পায়ে দেব ডালি
       সাঁঝবেলা দীপ জ্বালি, পরান জুড়ায়।
     মায়ের অশেষ দান বলেছে অগাধ ধান
                   প্রণতি জানাই,
সুখে দুখে ঝড়ে জলে চলে যেও নাকো দূরে চলে
                 কাছে যেন পাই।


অতি প্রিয় এই দেশ          রেখেছে আদরে বেশ
                   জননী আমার,
বাঁচার রসদ পাই               খুশির সীমানা নাই
                   ইমনে সেতার।
      সাগর পাহাড় নদী পাশে রয় নিরবধি
        ওরাই আমারে যত জোগায় সাহস
      সাগরে সিনান করি নদীবুকে মাছ ধরি
         মেতে থাকি নিশিদিন হৃদয়ে হরষ।
নানা ভাষাভাষী লোক       ভাবাবেগ যাই হোক
                      মধুর মিলন,
পরিচয় ভারতীয়                ভারত সবার প্রিয়
                      অটুট বাঁধন।