কাকতাড়ুয়া
জয়শ্রী কর


শস্যক্ষেতে ঠায় দাঁড়িয়ে রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে
মাথায় ছাতা ধরে না কেউ পাখি-ফড়িং চড়ে।
বাতাস বলে কানে কানে তোর রূপ নেই মোটে
কিন্তু তোকে দেখাচ্ছে বেশ চুরুট গোঁজা ঠোঁটে।


এসব কথা চুপটি করে কান পেতে সব শোনে
ফুটো দিয়ে বাতাস ঢোকে অপূর্ব রিংটোনে।
দিবারাত্র খোলা মাঠে একাই জেগে থাকে
রবি-শশীর মিষ্টি আলো সারা অঙ্গে মাখে।


মায়ের কোলে শিশু-কিশোর দেখে অবাক চোখে
স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়ে বেড়ায় কল্পলোকে।
অন্ধকারে ভূত ভেবে লোক ভয়ে পালায় ছুটে
ভয় তো ওদের পাবার কথা চেহারা বিদঘুটে!


চাঁদকে পেয়ে রবির যেমন খুশির জোয়ার প্রাণে
কাকতাড়ুয়ার বিজন ভুবন ঝিল্লি ভরায় গানে।
মৌমাছিরা ধানের শিষে উড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে
মনটা তখন বাঁধনহারা আকাশ যেন ডাকে।