কি করে আজ ঘুমিয়ে আছ তুমি বিশ্ব মুসলমান?
চোখ মেলে দেখো এই মাটিতে জেঁকে বসা শয়তান।
উন্নত শির নত করে আজ পরাজয় নিয়েছ মেনে
ইহুদিরা তাই হানছে আঘাত একে একে মাথা গুনে।
ঠুলি পরা চোখে আর কতকাল বেচবি তোর ঈমান
ঐদিকে তোর ভাইয়ের রক্তে আজ রঞ্জিত ময়দান।
বৃদ্ধ জোয়ান অবুঝ শিশু দেখো আল্লাহর রাস্তায়
কালেমা মুখে যাচ্ছে লড়ে ঐ মসজিদুল আকসায়।
পবিত্র সেই মাটির বুকে আজ আশ্রিত জানোয়ার
প্রাণ কাড়ে আর মুখ চেপে হাসে সীমারের তলোয়ার।
নিজ দেশে ওরা সন্ন্যাসী আজ মরে ওরা ধুঁকে ধুঁকে
প্রাণ দেয় তবু ছাড়েনা সে ভূমি খঞ্জর বিঁধে বুকে।
ভরসার তরী বেয়ে যায় ওরা যদিও জীবন হয় কতল
শরীরে বহতা সত্যের খুন ধ্বংসের মুখে থাকে অটল।
প্রতি নিঃশ্বাসে বিশ্বাসী ওরা ছোটে ইসলামের দিকে
মুখে হাসি তার অস্ত্রের মুখে যেন স্বর্গ ভাসিছে চোখে।
আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে কভু চায়না ওরা পরিত্রাণ
তাকিয়ে দেখো হে বিশ্ববাসী কাকে বলা হয় মুসলমান।
পাথরের গোলা ছুঁড়ে মারে ওরা বোম বারুদের মুখে
ঈমানী শক্তি বেড়ে যায় আরও গুলি ভেদ করা বুকে।
নির্ভীক সাজে সত্যের পথে ওরা আল্লাহর সৈনিক
মৃত্যুর সাথে মোলাকাত করে বাঁচে ওরা দৈনিক।
রহমতে ঘেরা খোদার যমিন প্রেতাত্মাদের মহাশ্মশান
হাড় লয়ে ওরা যুদ্ধ বাঁধায় আর তৃষ্ণায় করে রক্ত পান।
কাঁপছে গিরি সিন্ধু আকাশ বাতাসে ভাসা করুন সুর
পাশে নেই আজ বিশ্ব বিবেক ঘুমিয়ে তারা ভরদুপুর।
লোক দেখানো প্রতিবাদ আর নিন্দায় খুশি নপুংশক
দুশমন ভেবে আপন ভাইয়ে ইহুদির পায়ে ঠেকায় মুখ।
যুদ্ধের মাঠে চলছে লড়াই ঈমানের সাথে বেঈমানীর
ওঁৎ পাতা সব নখরধারী খাচ্ছে খুবলে ন্যায়ের শির।
শান্তির দালাল লজ্জায় লাল করে দাজ্জালের গোলামী
ইবলিস সেনা সকলেরই চেনা ছড়ায় যুদ্ধের উষ্কানি।
বিদায় নিয়েছে ফেরাউন তবু টিকে আছে তার ধারা
যবে ছেড়েছে কোরআন এ জাতি তবে হয়েছে পথহারা।
দিকে দিকে আজ সত্য বিনাশ সত্যবাদিকে পায়ে ডলে
দুধের শিশুও বিদ্রোহী দেখো নরখাদকের ছায়াতলে।
কোথা আছ তুমি খলিফা ওমর শুকনো মরুর বুকে
তরবারি হাতে ছুটে আসো তুমি এই সাহারার দিকে।
জীবন সেখানে গুনছে প্রহর জালিমের দ্বারে দ্বারে
তোমার শাসনের অপেক্ষা আজ মুসলিমের ঘরে ঘরে।