শত শতাব্দী গেল পেরিয়ে আসেনি মুক্তি তবু তাদের
শোষণের নীতি করিতেছে রাজ পৃথিবীটা যেন উন্মাদের।
শিল্পের চাকা চলিতেছে ‌যেন তাদের রক্ত পান করে
বিনিময়ে তারা পেলো কতটুকু সারাটি জীবন ঘাম ঝরে।


শ্রমিকের কাঁধে ভর করে আজও ঘুরিছে বিশ্ব যুগ যুগে
ওরাই আবার দিচ্ছে জীবন কষ্টের চিতায় ধুঁকে ধুঁকে।
মেলেনি মুক্তি দাপটের মুখে পায়নি'ক দাম সংগ্রামের
অধিকার গুলো কাঁদে নিভৃতে প্রতারিত ওরা ডান বামের।


পড়িতেছে চাপা ইট পাথরে গড়িতে প্রাসাদ তাজমহল
দুই চোখে তার বাঁচার আকুতি দুঃশাসনের শুধু রদবদল।
শৃঙ্খল পায়ে সয়ে যায় ওরা মালিকের চোখ রাঙানি
সাম্যবাদের পৃথিবীতে আজও শুনি শ্রমিকের গোঙানি।


নামের অধিকার কাগজে কলমে বাস্তবতায় সব মিছে
প্রহসনে ঘেরা তাদের জীবন কোনো রকমে বেঁচে আছে।
শ্রমিক দিবস এলো কতবার পালিত হলো তা ঢাক ঢোলে
তবু বঞ্চিত তাদের চাওয়া হয়নি তা পূরণ কোনো কালে।


একমুঠো ভাতে খুশি হয় ওরা দেখেনি কভু ভোগ বিলাস
তাদের আহার কেড়ে খায় পশু দেখিয়ে অস্ত্র ভয় ত্রাস।
দিন যাপনে ভীষণ অসহায় বিধাতা ওদের বোবা কালা
নিজেদের জীবন দিয়ে বিসর্জন দেশের জন্য গাঁথে মালা।


বুকে জমা তার ঘৃণার পাহাড় পুনঃপুনঃ তাহা ওঠে কেঁপে
অধিকার পেতে অস্ত্রের মুখে বুক পাতে ওরা দুঃখ চেপে।
চাওয়া গুলো তার প্রতিধ্বনি হয় ঘৃণা ভরা চাপা চিৎকারে
পরের কারণে বলি দিয়ে জীবন নিজে পড়ে রয় ধিক্কারে।