জীবন এখানে অবিরাম লড়ে পদে পদে মৃত্যু-ফাঁদ
কোটরে থাকিয়া কাঁপিছে প্যাঁচারা শুনিয়া বজ্র-নাদ।
ঝড়ে যদি গাছ পড়ে যায় তবু ভাঙ্গিবেনা তার বাসা
সেই ভরসায় আসেনা বাহিরে কোটর নিবাসী প্যাঁচা।


আঁধারে থাকিয়া করে উপভোগ পৃথিবীর যত সুখ
রাঙা প্রভাতের আলো দেখিলে কোটরে লুকায় মুখ।
ওরা লুটে খায় জগতের ধন চুরি করিয়া অগোচরে
নিশিত রাতে সাজে শিকারী নিরীহের দল কাঁপে ডরে।


শত শতাব্দী পেরিয়ে গেছে তবু টিকে আছে ওরা
গগনের নীল চেনেনা এখনো কালো নাকি তাহা গোরা।
ওঁৎ পেতে থাকে সূর্যের দিকে কবে হবে তার বিদায়
অন্ধকারে তাকে দেখিবে না কেহ লুকাবে না লজ্জায়।


জট বেঁধেছে ডানা দুটোয় আজ উড়ে নাই তারা কভু
গোধূলির রঙ দেখিয়া উহারা ভাবে আলো নিভু নিভু।
এই বুঝি হবে সূর্যের অস্ত হবেনা সে আর উদয়
পরাজিত হবে যাযাবর যারা শুধু উহাদের হবে জয়।


শ্মশানের ভূত সঙ্গী তাদের আসেনা ওরা লোকালয়ে
অস্থি নাচিয়ে ঢিল ছুড়ে মারে যদি লাগে কারো গায়ে।
শির নুয়ে চায় শান্তি উহারা ভয়ে কাঁপে ওরা থরথরে
জিঞ্জির পায়ে আসে কি মুক্তি দাস দাসীদের ঘরে ঘরে।