----------জ্বলিতেছে সত্যের চিতা
মিথ্যার বীজ বুনিতেছে পাপী
                      শয়তান যাদের পিতা।
বিধি বিরুদ্ধ জ্ঞানের ছোঁয়ায়
                     মহাবীর যেন শক্তিহীন
কাপুরুষ তাই রচে ইতিহাস
                   অন্ধের চোখে সব রঙিন।
ভুল ভেবে যারা ফুলের চারা
                      সমূলে করে উৎপাটন
জরাগ্রস্ত খরা মাথায় ওদের
                     নপুংশকের দিন যাপন।
স্রষ্টাকে নিয়ে লড়াই করে
                   সৃষ্টিকে মারে লাথি ঝাটা
মগজে পঙ্গু বীরপুরুষের
                মুখ জুড়ে তার কুলুপ আঁটা।
কান চোখ মাথা সবই আছে
                    তবু অসম্পূর্ণ মানুষ ওরা
অন্ধকারে থাকে ঘুমিয়ে
                 আলোতে চোখে ঠুলি পরা।
      -----------আজ সমাজের চারিধার
পিপীলিকার মত ঘুরিছে মানুষ
                          বুকে চাপা চিৎকার।
মাটির শরীরে পাথরের মন
                      দেব দেবতার রূপ ধরে
শান্তির ফেরি করিতেছে যারা
                         অশান্তিটা তার ঘরে।
হলো যে পতন কত রাজত্বে
                       শত সিমারের তরবারি
পায়নি'ক ঠাঁই পৃথিবীর বুকে
                        কোন সৃষ্টির বাহাদুরি।
     ------------এই দুনিয়া শক্তির দাসী
অমানুষ এখানে রাজ করে আর
                  মানুষের গলে ঝুলে ফাঁসি।
প্রতিক্ষাতে যার জীবন অবসান
                    আসে নাই তার শুভদিন?
জীর্ণতা হেথা বেঁধেছে বাসা
                 পদে পদে যত গ্লানি মলিন।
জীবন এখানে সেজেছে রঙিন
                         জরা মৃত্যুর গা ঘেঁষে
তবুও মানুষ থাকেনা থমকে
                      খরা বৃষ্টির ভীম রোষে।
স্বপ্নেরা এখানে সেজেছে পঙ্গু
                       অনিশ্চিতের হাত ধরে
চলার পথ যেন কাঁটায় পোঁতা
                    দু ধারে শত্রু খেলা করে।
তীরের মুখে বীরের শাসন
                  ভয়ে কাঁপে যত মশা মাছি
সততার ঘরে ধরেছে ভাঙ্গন
                শয়তান-বেইমান কাছাকাছি।
জমের মুখে সংযমের নাম
                  ওরা কংস রাজার বংশধর
প্রতি নিঃশ্বাসে পায় অভিশাপ
              কাদা ছোড়ে ওরা একে অপর।
হিংস্র প্রাণীর জীবন যাপন
               শিখিয়াছে শুধু নাওয়া খাওয়া
যদি দেখে দুটো কচি বুনোহাঁস
               জান-প্রাণ দিয়ে করে ধাওয়া।