বদ্যি বুড়োর পিঠটা কুঁজা,
সে নাকি এক দক্ষ ওঝা!
মা বল্লেন; ল’না নিমাই,
তোকে একটা বদ্যি দেখাই।
বারো মাস-ই অসুখ লয়ে,
কেনো যে তুই যাস শুকায়ে?
বুকে ক’টা হাড় গণা যায়,
মন বসে না পড়া লেখায়!
মা’রে কলাম দু’গাল হেসে,
সমাধান কী জুটবে শেষে?
মায়ে বল্লেন; বদ্যি বেটায়,
স’বি জানে হাতের রেখায়।
আমার কী যে অসুখ হলো,
কেমন করে বলবে বলো?
হাতের রেখায় অসুখ ভাসে?
শুনেই মায়ে উঠলো হেসে।
ওসব কথা বলতে মানা,
গুরুজন সে সবার জানা।
খুব সকালে ঊষার ভোরে,
হাজির হলাম বদ্যি দোরে।
চারপাশ টা কী কদাকার,
ঝুপরি ঘরে বসতি তার।
শ্বাস নালিতে শব্দ কপের,
সে নাকি কয় ভাগ্য লোকের।
বুড়ো বদ্যির পিঠটা কুঁজা,
মা কন; ওটা বিদ্যা বোঝা।
হাতের রেখায় দৃষ্টি ফেলে,
সব কথা মোর বল্ল খুলে।
শিকড় পুরে তামার তাবিজ,
সূতোয় বেঁধে হাতে বাধিস্।
কেমন বল্ল বলতো খোকা?
আমার কাছে লাগলো ধোঁকা।
ওসব তুমি কর আস্থা?
গুণেই যদি বলতে পারে;
তার কেন মা দূরাবস্‌থা।