নয়ন যখন স্তব্ধ কালে,স্বপন আসিলো ক্ষণে
মম প্রাণ আর নাহি দুনিয়ায়,গেল বিসর্জনে।
সূচনা তে মোর দেহ উঠিলো, বৃহৎ চমক দিয়া
মালাকুল মাউত উড়াল দিলো মমরুহ খানি নিয়া।
স্বপন কালে আরোও মোর আসিলো ভাসিয়া
রুহপ্রদান শেষে মৃত্তিকা তে, রাখিলো আমায় চাপিয়া।
আমি বারে বারে চিৎকার দেই,আছো নাকি কেহ
পার করো তব এ বিকট স্থান ভেদে আমার ধবল দেহ।
চিৎকারে কেহ সারা না দিয়া,হাটিলো নিজ পথেতে
আমি শুধু একলা পড়িয়া,তবু জড়িয়ে তথাতে।
চল্লিশ কদম পেরোয়ে যখন,রাখিয়া আমারে ঘেরা
হটাৎ কাহার আগমন ঘটিলো,মোরে করিবে জেরা।
ডাকিলাম আমি চিৎকার দিয়া,অচেনা তব হায়
ভেদ করো আটকানো ভুতল,আপনার ভিটামূখি যাই।
কথা আছে আমার কিছু তবে আর,
দুনিয়ায়ও আমি টিকিতে পারিনি,দুখে ফেলিয়াছে বারবার।
এখানেও আমি চিৎকার দেই,আপনজনে কেহ নাই
তবে সে চিৎকার হতে আজিকে বেদনা বেশি কেন পাই?
চিন্তা করিবেন না আপনি,আসিয়াছি কিছু জানিতে
দুনিয়াতে কিছু শর্ত ছিল পারিয়াছেন নাকি মানিতে।
হিসাব হবে এখন শুধু প্রাথমিক,
তবে হাশর নামক ভূমিতে হবে বার্ষিক।
থাক কথা নাহি বলি,প্রশ্ন আছে কিছু,
উত্তর দিলে আমি কী নিতে পারিবো খোদা বেহেস্ত পিছু?
অবশ্যই,তবে শুরু করা যাক আপনার খোদা পরিচয়
যার কোনো শেষ শুরু কিছু নাই,দুনিয়ায় করিতাম ভয়।
রিজিক প্রদানে যার শ্রেষ্ঠত্ব,একক খোদা শক্তিমান
তিনিই তো মোর রব আর-রহমান।
বাহবা দিতে হয় উত্তরে তবে দ্বিতীয়তে প্রস্তুত নাকি?
উপায় নাই কিছু, পারিবোনা দিতে রবের প্রশ্ন ফাকি।
কী ধর্ম নিয়া আসিয়াছেন এই অন্ধ আদালতে
আসিয়াছি চিরচেনা সত্য প্রদান পথে।
ইসলাম নামক ধর্ম নিয়া আসিয়াছি তবে,
তৃতীয় প্রশ্নে প্রস্তুত,করিবেন কবে?
দেখিতে পারিবেন এক রত্ন মাখা আনন,
ইহা এক বিরাট রূপের নিষ্পাপ কানন।
নিশ্চিত তবে ইহা হবে মোর প্রাণের নবী,
তার উক্তি হতে দুনিয়ায় আমি মানিয়াছি সবই।
সবে তে আপনার প্রতিভা দেখিয়া,দিলাম বেহেস্ত বন্ধন
এখানে বসিয়া বেহেস্ত সূখ ভোগ করিবেন,অভিনন্দন।
এখন তবে সূখনিদ্রায় যান,সকল চিন্তন করিয়া ছিন্ন
ডাকিবো তবে যখন হইবে এই মেদিনি নিশ্চিহ্ন।
স্বল্পকালের মূখী হয়ে চলিলাম যেথা ঘুম বেশে
আসিলো এক তীক্ষ্ণ সুভাস,বেহেস্ত বাতাস ভেসে।
হটাৎ আসিয়া মোর কাঁচা ঘুমে আঘাত করিলো বেশ
উঠুন পবিত্র আত্মা সময় এসেছে,
দুনিয়া নাহি আর বিচূর্ণ আজ সবই শেষ।
হটাৎ কোন দিকেতে এগোতে হবে মোর
সোজা দিন খোদার আরশ মূখী দৌর।
সবাই আজ ছোটাছুটি করে,ডাকিয়া নাফসি নাফসি
হতভাগারা চিন্তায় আছে,ডুবছি ঘাম সাগরে
আসিলোনা কেহ এত করিয়া যে ডাকছি।
মোর হিসাবে কর্ম রহিয়াছে খোদার পথে,
কর্মে মোর ভারি নেকি, সৎ আমল দিক
তবেই তো সফল হইবো,উঠিবো জান্নাত পথী রথে।
ডান হস্ত বাড়াতে বলিয়া পরাইলো জান্নাতি জামা
সেই হস্তেই প্রদান করিলো,মোর আমলনামা।
আমি খুশি হইয়া চিৎকার দিয়া উঠিয়া
খোদা মোর জান্নাতি আমল মাপিয়া,
দেখ দেখ মোর সফলতা,খোদার আরশ গেল কাপিয়া।
যান যান বেহেস্তি বান্দা,করিয়াছেন সবে বাজিমাত
এক এক করিয়া সব পাশ,বাকি আছে পুলসিরাত।
ইহা তো সূক্ষ সূতার পথ দেখি,কীভাবে পার করিবো হায়
একবার পা ফসকালে দোজক আগুন করিবে ধায়।
মুচকি হাঁসি দিয়া,ফেরেস্তারা আশ্বাস দিলো মোরে,
খোদা পার করিবেন আপনারে,চিন্তা করিবেন নাকো
খোদা সিরাত রে বানায়েছেন আপনার লাগি সাঁকো।
পার হই আমি সূখে ভরা উল্লাসে
চারিদিকে দেখি,শুভেচ্ছা বায়ূ ভাসে।
আমারে এগোতে লাখো ফেরেস্তা আগমণ
আদরে জানায় তারা মোরে সম্ভাষণ।
বেহেস্ত প্রবেশ করিয়া,সুখ ভরা হৃদেতে
খোদার আচরণ,ভয় নাই তৃষ্ণা আরো ক্ষিদেতে।
একালে এমন স্বপ্নই আমি চাহিয়াছি বারেবার।
এই ঘুম আর স্বপন সত্যি হইবে কবে আর।
আমি মোর নকল স্বপ্নেও এই স্বপ্নের রাজ্যে যেতে চাই
আমি স্বপ্নের মাঝে ঘুম দিয়া,বেহেস্ত সূখ যেন নকল ঘুমেও পাই।