মহা শান্ত আমি,তা জানতো, তাই প্রান্ত নেই আজ মোর
হুংকার ছাড়ি তায় বাঁচিতে,নিশীথিনী আজ ভোর-
আমি ক্লান্ত তাই ক্ষান্ত আছি নাই কোনো নিজ রাজ
তবে উঠিবো জেগে ভ্রান্ত কেটে তুলিব মুণ্ডে তাজ!
নত হই আমি জায়নামাজে ক্ষত করি কত অলীকে
উসুল করিবো তীলে তীলে ভেঙে বারুদের যত নলিকে।
আমি তলে চলিয়া যাবো দেখিতে পায়না যবে আমারে
উপহাসীরা ছুটিবে কণ্ঠে ক্ষনে ক্ষণে দোযকের ক্ষামারে।
আসিবো আবার ফিরে
আনিতে কু ক্ষণ নদের তীরে।
ছিটাই বজ্র কণ্ঠে হুংকার,আসমান পারি দিয়া ফুলকি
বরষের বৃষ্টিতে তাকিয়ে তাহারা,মোর দৃঢ় দৃষ্টিতে নামে উল্কী।
সুহাগের নামে নমনীয়, কামনীয় নয় তারই ভঙ্গী-
ভাঙিতে তাহারে-দাড়ি টুপি সবে নাম তুলিয়া মোর জঙ্গী।
ওরে হ্যা আমি জঙ্গী,তুলি প্রভু নাম তুঙ্গী-
জলপ্রপাতে ধুয়ে তোর নেকড়ের ভাব রাশি-
আমি নায়াগ্রাশি,
হই তোর চোয়াল ভাঙার লাগি আগ্রাসী!
অজুহাত যবে, খুলিয়া খুলিয়া রবে,বাক যবে তোর বন্ধ
সঠিক পায়ে,পায়ে দাড়াবার-মুমিন হয় তবে ধর্মান্ধ
ওরে হ্যা আমি ধর্মান্ধ-ধর্মের প্রণয়ে অন্ধ
আমি অন্ধে অন্ধে ছুটিয়া চলি, হই হযরত পন্থী-
অন্ধের আন্দাজে তোলায়ার ঘাতে চিড়ে ফেলি তোর শ্বাস গ্রন্থী।
আমি শান্ত হয়ে থাকি তোরে ঘিরে,
ক্ষ্যাপা আমি-আনিতে কু ক্ষণ নদের তীরে।
তবু যেন প্রাণ সড়কে,উপচে ওঠে মম জয়ের নিশান
হাসি আমি যবে নিভু নিভু করে ক্ষণিকের মোর খানিক জান-
এখনো হাসিবো যতদিন ক্ষয়ে যাবে যত নিষ্পাপ প্রাণ
ভরিছে তো সেথা যেথা রাখা কত ফাঁকা নব উদ্যান।
আছে তারা সবে শিশু-কিশোরীরা,কত হামাসীরা
বেহেস্তের রাখা নিরব নীড়ে-
গুলির শব্দ পৌছেনা সেথা-
আসিবে আবার আনিতে কু-ক্ষন নদের তীরে।
চোখ দুটি খুলি,রব নাম তুলি ফজর আজান কানে শুনি,
শেষে ফজরের পালা,কল্লা কাটার লাগি হই আমি খুনি।
ওরে হ্যা আমি চঞ্চল,সহসা ভাঙি তোর অঞ্চল আমি ভাঙি তোর দ্বার-
উঠানে দাড়ায়ে তাকবির দেই,তারপর হানাদার।
ছিড়ে ফেলি তোর গরদান,স্পর্ধা রে স্পর্শ এলোমেলো করি গঞ্জে
সেখানে আল্লাহ রাসুল নামের বাজার করি,ভরি সেথা তার কুঞ্জে।
শ্বাস ছাড়ি মধ্য রৌদ্র গন্ধে,প্রতি পাতায় পাতায় ছন্দে
হস্ত তাতাই সেই রৌদ্রে,আমি লাগি আকসা বাঁচাতে দ্বন্দ্বে।
মোল্লা মোল্লা ডাকিস কারে মোর মসজিদে শুধু নাহি বসবাস,
রবের দেখা শেষে পারি ভাঙিতে, হয় কাফিরের সর্বনাশ।
কারে শুধু বারে বারে মূর্খতুল্ল করিয়া,পিছ হতে দিস টান।
শান্ত মেজাজের অশান্ত পাণি কাটিতে যানে গরদান।
যদি রাখিস তবে তোদেরই মাঝে হাজার মেষের সাজে
এক গাভি ছানা বনে
দুনিয়া দাপাতে পারে শান্ত মন মোর,হাজার বাঘের মাঝে এক সিংহের গর্জনে।
প্রাণ ছাড়িতে মোর হৃদ নাহি ঘন ঘন কাপে,
কম্পন শব্দ অভিশপ্ত তোর পাতাল ফাঁকে ফাঁকে দাপে।
প্রাণ ছেড়ে হই আমি বিপুল কন্ঠে ধন্য,জীবনের পরোয়া নাহি করি,
রক্তে বানাই বন্যা
আমি সেই,তুলিয়া আনি নব্য কালের শিশু কন্যা।
আমি সেই জাত মুনাফিকেরে করি ছিন্ন ছিন্ন কর্তন,
দেখিলে সয়তান পথ করে পরিবর্তন।
আমি সেই জাত ময়দানে লড়ি কণ্ঠের স্বরে সাথে দশজন
প্রাণ কাপে তোর,যবে ছাড়ি সেই বজ্রের মত গর্জন,
এই মোর অর্জন।
ছিন্ন করা হস্ত,শান্ত আজি হারাইনি শত বীরে,
আসিবে তাহারা আনিতে কুক্ষণ নদের তীরে।
যত ঘাত,আঘাত আছে দুনিয়ায় করিয়াছি নিজ রপ্ত
প্রতি রক্তে রক্তে তোরে করি আমি অভিশপ্ত।
প্রভাতে উঠি,জমকালো মেঘে সেজদাহে করি হৃদ শক্ত
গ্রীষ্মের তেজের রাক্ষসী আমি তাপের মিটমিটে বিরক্ত।
জাত ভুলে যাস না আমি তাকায় গগনের হিমকরে
থর থর করে গগনের চন্দ্র মোর আঙুলেরই ডরে।
রই আমি সেখানে অবাক বিস্ময়ে- দেই মোর দৃষ্টি গগন পারি-
ইশারায় তার দেহ খানি ফাড়ি।
তুই সেই চন্দ্র,আমি ফাড়ি,করি দ্বীখন্ড- যদি তুই সেই দ্বীপ্ত
আমি অতীতে আলো ছাড়িয়াছি আমিই উৎস আদিত্য।
তবে নিভু হয়ে যায় তোর আলোর যত কণ্ঠ-
আমি মিহির, বন্ধ করিবো সামনে ধরিয়া দন্ড।
আমি শতদল,আমি কোমল,আমি প্রনয় ঢালতে পারি,
আমি অন্যায় রূখে যেতে বক্ষ উঁচু করিতে নাহি ছাড়ি।
আমি পুষ্পের মত ফুটে থেকে শুধু সুভাস ছড়িয়ে যায়।
ব্যকুলতা মোর শুধু কিভাবে করিবো স্বর্গ মূখি ধায়।
আমি গুলাবের ন্যয় সুন্দরে থাকি,সুভাসে যদি কেউ আসে মোর পথে,
তবে ছিড়িতে আসিলে,আমার কাটা যাইবে নষ্ট হস্তে গেঁথে।
তবু আমি আজি দুর্বল-সবল হবার নাহি অধিকার মোর জোশে-
তোর হস্ত কারিবার লাগি-দয়াবান রয় আরশে।
প্রতিরোধ,প্রতিশোধ তোর অভিশাপ ঢুকিবে শিরে শিরে-
তবেই ঢেউ খেলিবে কুক্ষণ নদ-সে আনিবে কু ক্ষন ইদের তীরে।
স্ব রণে আন সুন্দরী গোলাপ কাটা হানিতে যানে-
নীলাভ নভঃ বজ্র ফেলিয়া আতঙ্ক আনে।
ক্ষ্যাপা মুমিন আনিয়া কুক্ষণ নদে তড়িৎ হানে।
ফিরবো আমি নিজ আসর রবের নীড়ে-
তোরে আনিয়া কু-ক্ষণ নদের তীরে।