প্রতিবিধান


প্রলয়ে মাতিয়া ধ্বংস সাধিব!
রক্তে করিবো গঙ্গাস্নান,
অমরত্বের যুদ্ধ সভায়
কন্ঠে সাধিব মৃত্যুগান।
আমি বিদ্রোহী আসিয়াছি ফের,
বড় ত্রাস আমি গোটা বিশ্বের।
উদ্ভট আমি, স্বৈরাচারী,
মৃত্যু খেলার ধারনাধারী।
আমি গাঁজার আসরে বুদ নেশা হয়ে
কলিজা করিবো ছেদ,
যুগে যুগে আমি নেলসন হয়ে
টুটিয়াছি ভেদাভেদ।
বেশ্যার ঠোঁটে লাগা চুন আমি,
বিকার বিবেকে বিনাশকামী।
আমি ডোম হয়ে কেটেছি কলিজা
সহস্র ধর্ষিতার,
বুক ফেড়ে শুধু শুনিয়াছি কোটি
লালসার চিৎকার।
প্রহসন করা বিচার, আমি
রেলে কাটা পড়া ফ্যাকাশে লাশ!
আমি স্বাক্ষী মিথ্যা স্বাক্ষ্য,
মহাভারতের সর্বনাশ।
জন্মভূমির পলাতকা আমি
ড্রাকুলার রানী অামার মা
জন্ম আমার আজন্ম পাপ,
পঁচা শামুকে কেটেছে পা।
কখনো হয়েছি রোহিঙ্গা আমি;
কখনো হয়েছি ফিলিস্তিন,
আমার রক্ত কালো বুঝি তাই,
বিশ্ব হয়েছে বিবেকহীন।
আমি তো ওদের পা চাটা গোলাম
মানুষ মরলে আমার কি?
কেন আমি আজ রাজদ্রোহী নই?
এমন কপালে লাথ্থি দেই।
শান্তির নামে পায়রা উড়িয়ে
কেউ কি করেছে তাহার খোঁজ?
হায়রে ছলনা, মিথ্যা অভয়
সেই তো হয়েছে বলির ভোজ।
মানবতা আজ পুতুল যেখানে
জুলুমের শীরে খচিত তাজ,
ঈশ্বর কে বলে দেবো সব
ইরাকের শিশু কাঁদেনা আজ।
হায় ভগবান, ঈশ্বর, খোদা
তোমার বিচারে নেই কি ধার,
আমি নাস্তিক, পাপের পূজারী,
ওদের পূজা যে করিনা আর।
আমি শয়তান, আমি ভগবান,
আমার তৈরি সব ব্যবধান।
মোর এ এহিয়াতে শত মন্দির
আমি যে গোরস্তান।
তোমারই টুটি টিপিয়া ধরিয়া
তোমারী জয়গান।।
হা হা রবেতে হাসিয়াছি আজ
এমন বিচার মানি তাই,
আমি বিদ্রোহী, আমি রাজদ্রোহী
আমি ক্ষুদিরাম এসেছি ভাই।
আমি যুগের মহাবীরশের
তুচ্ছ সকল, বাধা বিশ্বের,
আপন শোণিতে হলি খেলে আজ
রুধিব মাতার অশ্রুজল,
অত্যাচারীর রক্তে রাঙ্গাবো
চন্ডী কালীর পদতল।