বর্ষানুভূতি
আজকে আবার আষাঢ়মাসে বৃষ্টিবেলার পালা,
তা দেখে আজ মনময়ূরীর হর্ষোল্লাসের খেলা।
বর্ষামেঘের দর্শনে যেন স্বর্গদুয়ারের সাক্ষাৎ,
স্বর্গ হতেই ঈশ্বরকৃপায় একি শীতল জলপ্রপাত।
গ্রীষ্মের দাবদাহে জরাজীর্ণ মনের কোণ,
বর্ষাবারির শীতলতায় স্নিগ্ধ হল প্রত্যেকজন।
নীলাকাশের নীলিমা আজ কালো মেঘে ঢাকা,
উদয় সূর্য অস্তমিত আকাশে যেন লুকিেয় রাখা।
বৃষ্টির আজ মাটিতে এ’কি অবিরত পতনলীলা,  
শব্দেই সেই প্রকৃতির এই আর্তনাদী অদ্ভুতখেলা।
ভেজামাটির গন্ধে আজ চতুর্দিক সুবাসিত,
পুষ্পগন্ধের ন্যায় পরিবেশকে করে উদ্ভাসিত।
আজকে যেন অনুভূতি সবটাই উজাড় করে,
বাঁচতে চায় সবাই প্রকৃতির এ লীলা মনে ধরে।
স্বপ্ন আজ সার্থক বেঁচে থাকাও তাই,
বাস্তব যেন ছাপিয়ে স্বপ্নের জয় নাই।
ভাবতে ভাবতে অকস্মাৎ যেন সিংহনাদ্,
এযে বিধ্বংসী ক্ষণকালী সেই বজ্রপাত।
ভয় পাই মন সৃষ্টি সময়ে এ ধ্বংসবীজ দেখে,
বন্যাও যে বিধ্বংসী অতিবর্ষণকেই সঙ্গে রেখে।
তাইতো আজ প্রার্থনা করি ঈশ্বরকে অঙ্গীকারে,
তুমিই সেই অন্তর্যামী সর্বসম্ভাব্য যার ভারে।
হতে দিওনা ধ্বংসবীজের বিধ্বংসী সূচনা,
দিও নাগো পৃথিবীকে এ নরকযন্ত্রণা।
সারাজীবনের পূণ্যের বিনিময়ে আমি চাই,
মুক্ত কর পৃথিবীকে বর্ষার ধ্বংসলীলা হতে তাই।  
আর যে আমি বলব কি সবাই কুশল থেকো,
বৃষ্টিফোটায় মনকে তোমরা শান্তস্নিগ্ধ রেখো।
আমিও যেন আশীষে তোমাদের দীর্ঘায়ু হই,
প্রতিবছর এ’ বর্ষানুভূতি হৃদয় জেগে সই।