আজকে আবার স্মৃতির পাতাগুলো পুনরায় উন্মোচিত,
সবকিছু আবার পড়ছে মনে তাও যা অযাচিত।
শৈশব হতে কৈশোর আর তারপর এই যৌবনবেলা,
যৌবনের পর যেতেই হবে বার্দ্ধক্যের সেই মৃত্যুখেলা।
তাইতো ভাবি কি আছে এই বেঁচে থাকার কয়েক বছরের জীবনে,
মৃত্যুই যদি পরিণতি হয় বিলুপ্তির অন্তিমক্ষণে।
জীবনপথে আমরা অজানা গন্তব্যের পথিক,
মৃত্যুই কি সেই গন্তব্য তাইই কি ঠিক।  
ঠিক বেঠিকের রহস্যে জীবনে আটকে না থেকে,
জীবনটাকে উজাড় কর মৃত্যুুর কথায় না বেঁকে।  
উজাড় কর জীবনটাকে সৎকর্মের প্রতি,
এই জীবন যেন হয় আশার আলোর জ্যোতি,
দূরে রাখো জীবনে ব্যবসার হিসাব লাভক্ষতি।
নিজের কথা শুধু না ভেবে সবার কথা ভাবো,
স্বার্থহীনতায় লক্ষ্য যেন হয় এই লক্ষেই তো যাবো।
একটাই জীবন এই জীবনটাকে ফিরে কি আর যাবে পাওয়া,
তাইতো যেন সার্থক হয় সব স্বপ্নপূরণের দিকে যাওয়া।
মরণ যদি চরমসত্য হয় তবে জীবনও মিথ্যা নয়,
জীবনকে পেরিয়েই যে মৃত্যুক্যে নিজেকে সত্যি করতে হয়।
জীবনটাকে সত্যি করে চরমসত্যিতেই যদি আমরা চিরবিলীন,
তবেই তো মরণের অস্তিত্ত জীবনের কাছে হবে ক্ষীণ।
সত্যি সেই জীবন শুধু যেন নিজ সাফল্যেই না হয়,
দেশ ও দশের ভালোতেও নিজের সাফল্যের জয়।
নিজের দুঃখকেই বুকের মধ্যে শুধু আগলে না রেখে,
অন্যের দুঃখকে দূর কর তার দুঃখসাথী থেকে।
দেখবে তার দুঃখনাশে তুমিও হবে সুখী,
আর সে সুখেই কমবে তোমার নিজ দুঃখের ঝুঁকি।
নিজের আশাআকাঙ্খাও করতে হবে সাফল্যমণ্ডিত,
এই সাফল্যের স্বপ্নেই যে স্বজনদের সুখ আবর্তিত।
তাই খ্যাতি পেলে জীবনে আমরা শুধু নিজের ভালোই না করি,
প্রতিষ্ঠা পেলে জীবনে আপনজনদের স্বপ্নস্বার্থকতাকেও তুলে ধরি।
তাই নিজ মঙ্গলেও অন্যের মঙ্গল হয়,
অন্যের মঙ্গলেই জীবনের সার্থকতার জয়।
ব্যর্থতা তো আসবেই জীবনে নিয়মই তা,
সেই ব্যর্থতাই যেন সাফল্যের পথে বাধা হয় না।
ব্যর্থ হলে ভাববে না জীবনটা যেন স্তব্ধ হল,          
ভাববে সবাই আরো বড় সাফল্যে জীবনটা এগোলো।
যাইহোক আমি শেষবেলায় একটাই বলি কথা,
জীবনমৃত্যুর আবর্তনে আমার এ লেখনীর বাস্তবতায় সার্থকতা।