আজ থেকে প্রায় বছর পাঁচেক আগে,
গিয়েছিলাম প্রিয়তমার ঘরে
ঈদের আনন্দমুখর দিনে।
যেন এসেছিল আকাশের চাঁদ
এই পৃথিবীর বক্ষে নেমে,
উঠেছিল জেগে অনুভূতি সব ঘুম থেকে
শুধু দেখতে তারেই একবার।
কত খুশি ছিল
কত ভয় ছিল এ হৃদয়পটে;
ভয়ে ভয়ে মন ছিল শিহরিত,
ছিল প্রেম তবু এ বিশ্বজাহানে।
সাহসী রাজার ঢঙে
ঢুকে পড়ি প্রেয়সীর ঘরে যবে
একরাশ হাসি নিয়ে
রক্তিম পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে,
ঠিক সেই লগ্নে
মুরগীছানার মতো এদিক-ওদিক
করছিল বিচরণ প্রিয়তমা
আমার অবাধ পাগলিনী হয়ে।
আমার পাগলিনীর সেইদিনকার
এত পাগলামো দেখে
মন ভরে গিয়েছিল অকৃত্রিম সুখে,
জলে জলে ভরে গিয়েছিল
শুষ্কজলা পুকুরের বুক।
মানুষভর্তি গৃহের চারপাশে
নিঝুম প্রিয়ার অন্দরমহলে
চলছিল তখন তুফান,
ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে
মোর প্রিয়তমা লুকিয়েছিল আড়ালে।
দুই ভূবনের মাঝে
বাধা হয়ে বেঁধেছিল সমাজ
অদৃশ্য দেয়াল দুজনার নীড়ে।
মানি নি তবুও হার,
দেখতে দেখতে সুধী
বিড়ালছানার মতো এসেছিল কাছে
বিড়ালের মায়ের মতন
বুক আলয়ে আশ্রয় নিতে।
ভীতু বিড়ালছানার মতো
শুয়েছিল প্রিয়তমা আমার গরম বুকে।
এরপর ঠোঁটে ঠোঁটে কথা হলো বহুক্ষণ,
প্রিয়তমার অধরে ফুটেছিল বেলী ফুল,
ফুলে ফুলে ভরে গেল তার সারা দেহমন।
তার দেহের উপত্যকায়
রেখেছিলাম আমার মাথা,
খাঁমছে ধরেছিলাম বাহুডোরে তারে,
নিস্তব্ধ সন্ধ্যার সেই প্রিয় রাতে।
মনে পড়ে সেই সোনালী দিনের কথা,
কথা ছিল, ব্যথা ছিল,
ছিল প্রেম-ভালোবাসা,
ছিল রাগ-অভিমান,
কতশত স্বপ্ন দেখেছি দুজনে মিলে
কঠিন আঁধারে বসে বসে।
তিলে তিলে মরে গেছে মন,
চলে গেছে স্বপ্ন অসম্ভব পৃথিবীতে।