সহস্র বছর পার হয়ে গেলো,
তোমায় দেখি না,
চার কোটি বর্ষ চলে গেলো
তোমাকে দেখি নি আজো।
ছেলেবেলার বন্ধুর সাথে
মাঝপথে মাঝে মাঝে দেখা হয়,
বহুদেশ ঘুরে আসা ছেলে
দেখা পায় গর্ভধারিণীর।
নববধূ দেখা পায়
প্রবাসী স্বামীর,
কতজনে কতকিছুর সাক্ষাত পায়,
শুধু আমি পাই না তোমাকে,
অনেক খোঁজার পর
তোমার দর্শন হয় নি আমার।
তোমাকে দেখছে না বলেই
তৃষাতুর আঁখিদুটি মরে যাচ্ছে,
হারিয়ে ফেলছে দৃষ্টিশক্তি,
ক্রমে ক্রমে অন্ধ হতে হতে
রচনা করছি তিমির ধরণী।
আবার দেখবো,
তবে এই পারে নয়,
দ্বিতীয় কালের অনন্ত জগতে।
তোমাকে সামনে পেয়ে
খুলে যাবে অন্ধত্বের পর্দা,
বেরিয়ে আসবে
ডিমের নরম কুসুমের মতো
আমার হলুদ ফুটফুটে অন্তরাত্মা।
ভেঙে যাবে বেদনার মলিন প্রাসাদ।
ভিতু বিড়ালছানার মতো তুমি বসে রবে
অনুশোচনার উম দিতে দিতে।
অন্তর্চক্ষু তোমাকে দেখতে পেয়ে
পরম খুশিতে আটখানা হয়ে যাবে,
গর্ভধারিণীর পেটে থাকা
শিশুটি যেভাবে পৃথিবীতে এসে
জনক ও জননীর মুখে হাসি ফোটাতে ফোটাতে
কেঁদে কেঁদে উঠে।
শুধু বলবো তোমাকে
আমি পেয়েছি তোমারে
চিরজীবনের তরে।
আর কোনো কথা নয়
এই পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী মঞ্চে,
অজস্র কথার বন্যা হবে
এই জগতের পরের জগতে।
তোমার সংসার
তুমি সাজাও নিজের মতো করে,
বাধা হয়ে বাঁধিব না কখনো প্রাচীর,
দূর থেকে করে যাবো প্রার্থনা
নিমগ্ন আঁধার ভালোবেসে।