যেদিন তোমায় দেখেছিলাম হে প্রথম জীবনে,
গোধূলির শেষ আলো এসে
জ্বলছিল তোমার পবিত্র মুখে।
চোখে তোমার দেখেছিলাম
প্রদীপশিখার হঠাৎ কাঁপন,
সেই কাঁপনেই কেঁপেছিল আমার অন্তঃকরণ।
মরুপথে হেটে চলে তৃষাতুর মুসাফির,
হাটতে হাটতে হঠাৎ করেই
দেখা পেলো ভরসার নীর,
সেই খুশিতেই তৃপ্তি এলো
জাগলো মনে আশার আলো।
দেখতে দেখতে ভেবেই চললাম তোমায়,
তৃষ্ণামাখা এই চোখগুলো মোর হায়
ফিরে পেলো নতুন পরাণ,
মম মরুবুকে তুমি হলে পানির সমান।
দেখে তোমায় থমকে গিয়েছিল সবি,
চক্ষে তোমার ডুবন্ত সূর্যের মতন
ডুবে গিয়েছিল আমার পৃথিবী।
কি জানি কখন সকলের ভিড়ে
ছিলে আলাদা আমার কাছে।
তখনো বুঝি নি,কখনো বুঝি নি,
ডেকে এনেছিলু সর্বনাশা ঝড়
আমার ভাঙা কুঁড়ে ঘরে।
জীবনকে আমি জীবন ভাবি নি,
ভেবেছি তো সোনাঝরা ধানময় মাঠ,
তোমাতে আমাকে ভরিয়ে রেখেছি
দিবস-রজনী ভুলে।