নীলিমার মমতা মাখানো বুকে
থরেথরে ছড়িয়ে পড়েছে
গোলাপের ছোট ছোট কলি।
প্রতিদিন সেই কলিকার গর্ভ থেকে
জন্ম নিচ্ছে রঙিন স্বপ্নের ফুল।
রাত যায়,দিন যায়,
ফুলে ফুলে ভরে যায়
শরতের শুভ্র আসমানিসম শ্রীকানন।
কত যত্ন নিয়ে অহর্নিশি
ওরা পরিচর্যা করে বাগিচার ভূমি।
নীলিমার নরম গরম হাতে
মৃতপ্রায় ফুলগুলো ধীরে ধীরে
ফিরে পায় নবজীবনের স্বাদ।
সুখের পাখিরা উড়ে এসে
চুপ করে বসে পড়ে
রঙচঙা ফুলের সোনালী ডালে।
ফুলের আসরে বাসর সাজিয়ে
শুয়ে আছে নীলিমার মন
ব্যাবিলনের সে শূন্যোদ্যানে।
এভাবে সেভাবে করে
কেটে গেল একুশটি শুভ বর্ষ।
একুশ শতকে বসবাস করে
বিশ শতকের প্রেমে
আজো তারা ডুবে আছে।
ঘুমিয়ে পড়েছে মাছজোড়া
রূপালি জলের নহরের তলে।
সময় চলছে বয়ে
মহাকালের মহাসমুদ্রে চুপিসারে।
ভালোবাসা তবু কমে নি এখনো
ঘুণে ধরা সমাজের গুনগুনে।
আনন্দের বাণে ভরে যায়
নীলিমার প্রিয় চোখ-মুখ।
মাৎস্যন্যায়ের কঠিন যুগে
ছিল বহুকাল ধরে দুটি জীব।
মুখ বুজে কত নির্যাতন
সয়েছে কারণে-অকারণে।
অবশেষে সুলতানি যুগ
দিয়েছে দুদণ্ড শান্তি।
সারা ঘর যেন সরদারবাড়ি আজ;
সুখ-বরষায় ভিজে যাচ্ছে
জোড়া মনের উঠোনখানি।
মাঝে মাঝে নীলিমার ঘরে
উড়াউড়ি করে একটি অপূর্ব পাখি।
বারবার পাখিটির আগমন
স্পষ্টরূপে জানান দিচ্ছে যে
তাদের মনের লেনাদেনা কত স্বচ্ছ।
নীলিমার ঘরে দুটি ফুটফুটে বাচ্চা,
স্বর্গের অমিয় ধারা চলছে তাদের মনে।
সুখের জোয়ারে ভরপুর
দুজনার পাখির বুকের মতো নীড়।