ছন্নছাড়া জীবনটারে
বাঁধব আমি কিসের সাথে
প্রেমের রশি ফেলল ছিঁড়ে
রাগিণী তার ছলনা দিয়ে।
শোকের ছায়া চলছে পথে
দিনের শেষে রাতের ঘরে
আদ্র চোখে চেয়েই দেখি
পুষ্পকলি ঝরেই গেছে।
শয়নকালে নয়নতারা
জলের রাগে ভেজায় পাতা
সারাটা দিন মেঘলা হয়ে
খেলছে সাথে কৃষ্ণ ব্যথা।
আমার রাধা আপন মনে
দিবস-নিশি পরের ঘরে
পরশ-লীলা খেলছে শত
আমায় ফেলে দূরের বনে।
একদা এই রাধার সাথে
গল্প করে কাটত রাত
স্বপ্ন নিয়ে কল্পনাতে
যেতাম উড়ে মেঘের 'পরে।
সজনী মোর বিজুরী দিয়ে
রাখত ভরে আমার ঘর
আমার ঘরে খুশির মেলা
বসতো হেসে রাত্রিভর।
হাসির মাঝে দুখের মাঝে
চলতো প্রেম বিরানপুরে।
একটি রাতে না হলে কথা
ভাবতো মন হাজার রাত
প্রহরশেষে থাকতো জেগে
দুচোখ মোর কষ্ঠবীণাডোরে।
কাতর হয়ে প্রিয়ার চোখে
ডুবেছি সেই মেহেদি রাতে
সকল ফেলে সবার মাঝে
ছুটেছি সেই রঙিন দেশে।
হাতের 'পরে যেদিন আমি
দেখেছিলাম আমার নাম
আবেগ যেন প্রেমের বাণে
গড়লো মনে নিখুঁত সাজ।
হাতটি ধরে বলেছিলাম
অনেক মায়া কণ্ঠ দিয়ে
তোমায় আমি বুকের কাছে
সারাটাক্ষণ রাখবে পুষে।
সেই সে রাতে টাইড হয়
ক্ষণিক পরে মস্ত মনে
সোনালি সেই সুখের কথা
ভুলিয়ে দেয় জগতজোড়া।
জীবনজোড়া কাজের মাঝে
যখন প্রিয়া আসন পাতে
কেমন জানি অন্তঃপুরে
বিষের ক্রিয়া জ্বালায় বেশি মোরে।