প্রয়োজন ফুরিয়েছে, ফুরিয়েছে বেঁচে থাকার অনন্ত স্বাদ,
আবার অন্তরে পচা রক্ত জমতে আরম্ভ হয়েছে নিঃশব্দে।
সুখের জানালা দিয়ে লম্বা হাত নিয়ে ঢুকে গেল
কষ্টবৃষ্টি,
তুমুল বৃষ্টির সমীরণে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ভরসার চিলেকোঠা।
অস্থিতিশীল বাংলার নীলিমায়
আমি হাটি, আমি বাঁচি, আমি বসবাস করি মধ্যবিত্ত রক্তে।
জেনে রেখো,খুব করে জেনে রেখো, প্রিয়তমা,
আমি আর বেঁচে নেই এই পৃথিবীর বুকে,
আমার দেহটা হয়তো পৃথিবী প্রতিদিন বয়ে নিয়ে যাচ্ছে,
আমার অন্তর,আত্মা সেই কবে মরে মিশে আছে মৃত্তিকার সাথে।
শুকনো কাঠের মতো অহর্নিশি জ্বলতে জ্বলতে
আমি ভস্ম হয়ে পড়ে আছি ছাই হয়ে
আর ছাইয়ের মতো উড়ে উড়ে আমি গিয়েছি বায়ুমণ্ডলে,
তারপর, বহুদিন কেটে গেল,
কেটে গেল মেঘলার বহুরাত,
এরপর ঝরঝর করে ঝরে গেল অবিরাম বাদলের ধারা।
গর্ভবতী রমণীর মতো মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে
আমি কোটি কোটি চিরকাল পার করে জন্ম দিয়েছি সুখের শিশু,
ডাকাতরা ডাকাতি করলো তাদেরকে,
কেউ কেউ গলাটিপে হত্যা করেছে গোপন ক্ষোভে,
কেউ কেউ জাহেলিয়াতের মতো জীবন্ত কবর দিল।
বস্তাপচা ভালোবাসা বলে গালি দিল অনেকেই,
ন্যাকামির উপাধিতে ভরে গেল আমার জীবন,
সর্বনাশ গ্রহণ করেছি সর্ব আশা বুকে বেঁধে।
এতটুকু চাইনি কখনো যতটুকু তাবৎ মানব চাই,
চেয়েছি একটু সুখ, চেয়েছি সামান্য ছোঁয়া,
তাও পলায়ন করে বেড়ায় সারাটাক্ষণ।