রক্তাক্ত বাতাসের নিচে,
ধুলো-ধূসরিত ন্যায়ের স্তম্ভ,
একটি করাতের মতো বিভক্ত—
এক পাশে পুরুষের সিংহাসন, অন্য পাশে নারীর অগ্নিশয্যা।

সমাজের হাত দু'টি
গোলাপ নয়, বরং গিরগিটির মত
প্রতিটি ঋতুর রঙে মিশে যায়।
নিষিদ্ধ ভুলের কফিনে
নারীর নাম খোদাই করা হয়,
কিন্তু পুরুষের অপরাধ—
সোনার খাঁচার মধ্যে গুনগুন করে!

একটি সন্ধ্যা পুড়ে ছাই হয়
কোনো এক নির্বাক নদীর পাশে,
একটি নারী ছুটে যায়—
তবুও সমাজের আয়নায়
তার ছায়া রয়ে যায় দগ্ধ,
সমুদ্রের ফেনার মতো ভঙ্গুর।

পবিত্রতার সংজ্ঞা তার
অগ্নির ভাষায় লেখা,
কিন্তু পুরুষের প্রতিটি দাহিক
শীতল জলপ্রপাত হয়ে ঝরে!
সে যেন মৃত্যুর ছুরি হাতে নিয়ে
একটি বিধ্বস্ত স্বপ্নের দিকে হাঁটে,
যেখানে রাত্রির আলো ম্লান,
আর বিবেকের শব্দ নিঃস্ব হয়ে যায়।


কে রচনা করবে নতুন সংবিধান?
যেখানে ন্যায় হবে দুই চোখের আলো,
কোনো একান্ত শর্ত নয়—
নদী যেমন দুই তীরে সমান বয়ে যায়,
মানুষও হোক সে রকম নিরপেক্ষ!