শুনেছি—
ঐ বাড়িতে নাকি একটা লাশ আছে।
সুনসান রাত হলেই সে
একহাতে কালো গোলাপ
বা কখনো
একঝুড়ি চিঠিপত্র
হাতে নিয়ে মৌনী-সাধকের মতো
পুরো-বাড়ি হাঁটতে হাঁটতে
সুবহে সাদিক
বোবাকান্নায় মিশে যায়।


মাঝেমধ্যে—
ঐ বাড়িতে নাকি একটি বালিকার
অবিশ্রান্ত হাসি
রবীন্দ্র-সংগীত আর
সুনীলের ‘আমি কীরকম ভাবে বেঁচে আছি’
কবিতা প্রায়শই পাঠ করতে শোনা যায়। ওইখানে—


কার্নিশে দাঁড়িয়ে
লাশটা নাকি এক ঢোকে গিলে ফেলে
নিশুতিরাতের ধবল-জোছনা।
তারপর—
নিঃসঙ্গ শালিকের মতো নির্লিপ্ত বালিকা
লাশের ভাঁজে একসা হয়ে
নিকোটিনের ধূম সুরতে
একদমে মিশে যায় নিরবয়ব শূন্যতায়।
২৩.০৫.২০২২