নিশুতিরাতের প্রথমার্ধে
নিতল নিস্তব্ধ মাঠে;
উদ্দাম বাতাসে দোদুল্যমান
অনিরুদ্ধ কেশগুচ্ছসমেত
কৌটাভর্তি সুমিষ্ট (আম-চালতে) আচার
কাঁচা জলপাই
এবং খাঁ খাঁ
তপ্ত-গ্রীষ্মের তৃষ্ণার্ত জল আর
পরমাদৃত দয়িতার প্রেমাসক্ত পোট্রের্ট
অমিয় সরোবরে উত্থানপতনে তরঙ্গায়িত জলে
আদ্র হবার মতো সুরাসক্ত নিকোটিনে একসা হয়ে—
বিদঘুটে ঘন-অন্ধকারে
ইলেক্ট্রিসিটি বা ডিশ-ক্যাবলে
ঘন্টার পর ঘন্টা নিরুত্তর শ্রান্তকাতর
বসে থাকা কুৎসিত কর্কশ কাকের মতো নিঃসঙ্গ
বসে আছি যেন কোনো এক বিষণ্ণ বিপন্ন কবি।
বুক পকেটে জমেছে অবিচ্ছিন্ন বালিয়াড়ি
কিংবা ধরো চোখের কোণঠাসা
বিশুদ্ধ নোনাজল যেরকম বিলাপের কৃপণতায়
একটা-সময় শুকিয়ে শুকিয়ে হয়ে ওঠে
সামুদ্রিক-লবণ
তেমনি চাতকীর মতো চোখ; বিবর্ণমুখ
আগ্নেয়গিরির মতো লাভাস্রোতা বুক
এবং ঠোঁটে
অযত্নে অবহেলায় বিধ্বস্ত আকাশপটে
নিদারুণ যন্ত্রণা-
লেলিহান দাবানলের মতো
ক্রমশ
তুলোট-চিত্ত অবাধে নিত্য পোড়ায়; কেবলি পোড়ায়।
১৬.০৭.২০২২