কবিতার মতো একটি কান্তিমান জীবন
চেয়েছিলো সে—


যেনো তাকে ঘিরে সারি সারি রেড-ম্যাপল
সবুজাভ ঘাস, অ্যাকুরিয়ামে সোনালি মাছ
সারিতে পাহাড়-পর্বত, মনোজ্ঞ নীলাদ্রি হিমাদ্রি
সুবিন্যস্ত সুনিবিড় বৃক্ষরাজি আর
কতেক স্রোতস্বিনী জলপিঁড়িসমেত নদী থাকবে।


নদী: কোনো লাস্যময়ী রমণীর কার্পাসের মতো
সুকোমল চাদ্রানন এবং মুখনিঃসৃত
স্বর্গোজ্জ্বল দিলকাড়া হাসি—
লালচে আপেলের মতো স্বাদিষ্ঠ ঠোঁট
চিবুকের জাদুকরী রোদ যেনো প্রলুব্ধ চুম্বনের দুর্দম্য
ফাঁদ;
নিদেনপক্ষে ঐ রূপাগ্নি নারীর সুন্দরতম চোখের জন্য
পূর্ণিমার চাঁদের মতো ধবধবে গোলগাল স্তনের জন্য
তার মুখশ্রী প্রেমাসক্ত পোট্রের্ট অবলোকনের জন্য
বাসরমুখর ঝুল-বারান্দায় কোজাগরী রাত থাকবে।


বিষণ্ণতার দাবদাহে কিংবা দাবাগ্নি ভস্মীভূত তনু-মন
অথবা ১০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কপালে
প্রিয়তমার তুষারমোড়া হিমশীতল কোমল-হাত থাকবে।


কেবল কবিতার মতো একটি ম্যাগনিফিশেন্স জীবন
চেয়েছিলো সে—
এরচে বেশিকিছু নয়।
২৩.০৬.২০২২