তুমি অনাদিকালের অমৃতোপম
অহিফেন। প্রিয়তমা
তুমি নান্দনিক কোনো সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার।
তোমাকে আদ্যোপান্ত পাঠ করতে
আমি ব্যাকুল;
বড্ড উন্মাদ হয়ে আছি। অথচ বারবার
আমি নতমুখে ফিরে যাই আড়ষ্ট-গুহায়।


তুমি, কোনো-এক সুবিন্যস্ত লাইব্রেরি।
তবে কেন তুমি প্রবেশপথ বন্ধ করে আছো?
খুলে দাও সমস্ত নদীপথ-জলপথ-স্থলপথ।
অনুমতি দাও—
সুঁই-সুতোর দুর্দান্ত সঙ্গমের মতো
আমি শান্তভাবে তোমার নদীপথে প্রবেশ করে
রপ্ত করবো তোমার অমিয় জলের গভীরতা
জলোচ্ছ্বাস এবং উত্থান-পতন।


প্রিয়তমা,
তোমাকে পাঠ করতে চাই—
বেইলি-পদ্ধতিতে অবিকল। যেনো
প্রথম-পৃষ্ঠা থেকে শেষাবধি
আঙুলের স্পর্শে
অনুধাবন করতে চাই তোমার প্রতিটি অক্ষর।


তুমি, আবহমানকালের সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার—
চোখে গীতবিতানের বিমুগ্ধ শ্লোক
নৃত্যরত নাভি-নিম্নাভিমুখী
কেশকলাপ
বর্ণাঢ্য অক্ষর, সাংকেতিক-চিহ্ন
দেহে ঝুলন্ত নগ্নিকা
দুটো
রাঙা
চাঁদ।
যেনো উষ্ণ আলিঙ্গনের মৌন-মিছিল।
তুমি অনাদিকালের অমৃতোপম অহিফেন
চিরযৌবনা; খরস্রোতা প্রবহমান নদী।
২৭.০৬.২০২২