ছাত্র আমি ভালই ছিলেম, স্কুলে হতেম ফার্ষ্ট;
হেডস্যারের ছিলেম, এক নম্বরের কাস্ট।
কলেজ গিয়ে হলেম দলের পাণ্ডা;
দলের বিরুদ্ধে বললে কথা, করে দিতেম ঠাণ্ডা।
তারপরও ভালই হলো রেজাল্টটি,
দলের টিকিট নিয়ে, ভর্তি হলাম তাই, ভার্সিটি।
দলের নেতাদের সাথে সখ্যতা;
ধীরে ধীরে মাস্তানীতে বাড়তে থাকে, দক্ষতা।
বড় ভাইয়ের কল্যাণে, হাতে এল এবার, পিস্তল;
সেটায় জীবনে বাঁধায়, মহা গণ্ডগোল।
আমি এখন বড় ভাইয়ের দক্ষিণ হস্ত;
তার সাথেই চলাফেরা, খানাপিনা, উদায়-অস্ত।
বড় ভাইয়ের নির্দেশেই চলে, আমার পুরো গ্যাং;
চাঁদা দিতে করলে দেরী, ভাঙ্গি তার ঠ্যাং;
প্রতিপক্ষ করলে বেশি বাড়াবাড়ি;
এক গুলিতেই পাঠিয়ে দেই তারে, যমের বাড়ি।
চলার পথে যদি পছন্দ হয়, কোন সুদর্শনা নারী;
গাড়ি করে ধরে আনি, আমার বাড়ি।
সারারাত ফূর্তি করে, পৌঁছে দেই তারে নিজ বাড়ি;
আমার ভয়ে কেউ করেনা, বাড়াবাড়ি।
থানা পুলিশের ভয় নাই, মাথার উপর আছে ভাই;
এসব কাজে পয়সা-কড়ি, ভালই পাই।
গাড়ি বাড়ি সবেই আছে;
এর চেয়ে ভাল কাজ, পাবেনা আর ত্রিভুবন খুঁজে।
অবশেষে করলেম বিয়ে, বউ আমার অতি সুন্দরী;
আদোর সোহাগ ভালবাসায়, নেই তার জুড়ি।
দুবছরে কন্যা এলো, ঘর আলো করি;
বউ বলে, মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে, আস ফিরি।
ভাবি বসে, করব না আর অন্যায়;
কিন্তু বিপথ থেকে আসব ফিরে, নেই তার উপায়।
একটি মাত্র পথ খোলা, মৃত্যু;
এটাই সন্ত্রাসীর ভাগ্য লেখা, জীবনের চরম, সত্য।
তারিখঃ ২১-১১-২০২২ ইং;