ত্রিশ বছর আগে ঠিক এ দিনে
                   তুমি গেছো আমাদের ছেড়ে;
খোকা তখন দশ বছরের শিশু,
                    চাঞ্চল্য নিয়ে  উঠছে বেড়ে।


খোকার বয়স এখন চল্লিশ বছর;
                   সে এখন মস্ত বড় ব্যারিস্টার;
দিনে রাতে অনেক ব্যস্ততা তার,
                  মাথায় অনেক দায়িত্বের ভার।


খোকা এখন ছোট্ট খোকার বাবা,
                    তার পদচারণায় মুখর বাড়ি;
সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু সে,
                   নইলে সাথে সাথে দেয় আড়ি।


বাড়িটা এখন সদা থাকে স্বর-গরম,
                 অনেক লোক জনের পদচারনা;
এত লোকের মাঝে থেকেও আমি,
                         সম্পূর্ণ একেলা একজনা।


তোমার ওয়ারড্রবটা আগের মতই,
                    আছে সাজানো ঘরের মাঝে;
সুট কোট টাই সবই আছে সাজানো,
                জমেনি ময়লা কাপড়ের ভাঁজে।


আমাদের প্রথম দেখার সুখ স্মৃতিটা;
                 এখনো হৃদয়ে করছে জ্বলজ্বল;
ভার্সিটি গেটে সকাল বেলা হলো দেখা;
            শুধালাম কোথায় শামসুন্নাহার হল?


গভীর ভাবে তাকালে আমার পানে;
                  শুধালে, অনুসরণ করো মোরে;
আমারও গন্তব্য শামসুন্নাহার হল,
                কথা শুনে পড়ে গেলাম ফাঁপরে।


ভয় নেই পথ ভুলিয়ে নেব না ভাগিয়ে;
                 নির্ভয় দিয়ে তখন বললে হেসে;
সে থেকে শুরু একসাথে পথ চলা,
              সুখ সাগরে দুজনে গেলাম ভেসে;


এভাবেই কেটে যাচ্ছিল সুখের জীবন,
              বিয়ে পর খোকার হলো আগমন;
হঠাৎ খবর এলো, তুমি হাসপাতালে,
               এক খবরে হয়ে গেল ছন্দপতন।


তুমি চলে গেলে না ফেরার দেশে;
                স্মৃতি নিয়ে চলছি বিধবা বেসে;
আধো রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে,
               তোমার ছবি হৃদয়ে ওঠে ভেসে।
           তারিখ: ১৮-০৩-২০২৩ ইং;