কোকিল! তুমি বড়ই সুমিষ্ট কণ্ঠের অধিকারী;
তাই কোকিলকণ্ঠী পরিচিতি পায়, মিষ্টি কণ্ঠধারী।
বসন্তের শুভক্ষণে, এ ধরায় হয় তব আগমন;
সুমিষ্ট কণ্ঠে 'কুহু' বলে, জানিয়ে দাও সেই ক্ষণ।


তোমার কাল শরীর, লুকায়ে পাতার আড়ালে;
বারে-বারে, ক্ষণে-ক্ষণে, কুহু-কুহু, যাও বলে।
তোমার কাছে সুন্দরের, নাহি কোন সমাদর;
সব কিছুকেই 'কু' বলে, আনন্দ হয় তোমার।


রাখালের সুমিষ্ট বাঁশির সুর, 'কু' তোমার কাছে;
মাঝির ভাটিয়ালী সুর, 'কু' হয়ে তব কানে ভাসে।
নব বধুর চুরির রিনিঝিনি শব্দ, বল তুমি তারে কু;
প্রথম সন্তান জন্ম খবরও, তোমার কাছে নহে সু।


নিজের সুখের লাগিয়ে তুমি, নির্বিচারে কর হত্যা;
কাকের ডিম দিয়ে ফেলে, হত্যা কর তার আত্মা।
সুসময়ের বন্ধু তুমি, দুঃসময়ে হায়, তুমি কার নও;
মেঘাচ্ছন্ন কাল আকাশ দেখে, তুমি পালিয়ে যাও।


তুমি বসন্তের পাখি, সুসময়ে হয় তব আগমন।
যখন গাছে ফোঁটে ফুল, বহে দক্ষিণা সমিরণ;
সুখের আবেশে যখন দোলা দেয়, মানব জীবন;
তখনি এসে কুহু বলে, বিষাদে ভরে দাও ভূবন।


ঘন কালো মেঘ, যখন জীবন আকাশে ভাসে;
ঝঞ্জা বিধ্বস্ত তিমির রাতে, বিপদ বার্তা আসে;
বিধ্বস্ত হয়ে পরে, যখন জীবন, বয়সের ভারে;
তখনই তুমি ভুলে যাও মোরে, সরে যাও দুরে।


তোমার চেয়ে বড় শত্রু, হবে না ত্রিভুবন মাঝে;
আমার সকল বিপদেই, তুমি থাক চোখ বুঁজে।
সুসময়ের বন্ধু, নহে বন্ধু, নহে সে আপন জন;
সেইতো প্রকৃত বন্ধু, বিপদে যে জন হয় আপন।
                         তারিখঃ ০৫-১০-২০২২ ইং;