কৃষক, তুমি সভ্যতার আদি সন্তান;
তোমার হাতেই সভ্যতার জয়গান।
প্রাগৈতিহাসিক কালে করেছ শুরু;
ক্ষুধার অন্ন জুগিয়েছ, হে মোর গুরু।


অর্ধ উলঙ্গ দেহে, প্রত্যহ উষা লগ্নে;
লাঙল কাঁধে, ছুটেছ মাঠের পানে।
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় চলছে বিরামহীন;
জানিনা শোধিছ কোন জন্মের ঋণ!


দু'টি লগ্ন পা, প্রচণ্ড শীতে আরষ্ট
চলিতে নাহি চাহে, হচ্ছে ভীষন কষ্ট।
গ্রীষ্মের তাপাদাহে প্রাণ যায় যায়;
বিশ্রামের তবুও নাই, এতটুকু উপায়।


বর্ষায় ভিজেছে শরীর বারে বারে;
বজ্রনিনাদ হচ্ছে মাথার উপরে।
রোদে পুরে ফর্সা দেহ হয়েছে কালা;
তবুও থামেনি তব লাঙলের ফলা।


তোমার রক্ত ঘামে সিক্ত হয়ে মাটি,
দিয়েছে ক্ষুধার অন্ন; হয়েছে খাঁটি।
নিজে অভুক্ত, যুগিয়েছ সবার আহার;
কোনদিন দেয়নি আসন রাজদরবার।


ঘাম ঝড়া ফসলের দেয়নি ন্যায্য দাম;
করোনি অভিযোগ, বন্ধ করনি কাম।
বসুমতীর সাথে থেকে তুমিও উদার;
নমস্য তুমি, লহ লহ সালাম আমার।
      তারিখঃ ০১-১২-২০২২ ইং