কার্তিক মাস, মাঠ ভরা, রাশিরাশি সোনালী ধান;
কৃষাণ-কৃষাণীর মনে, বইছে আনন্দের বান।
নবান্নের উত্সবে মুখরিত কিশোর কিশোরীর প্রাণ;
কণ্ঠে তাদের নবান্নের গান।
নতুন চালে খেজুর গুড়ের পিঠা;
আহা আনন্দে ভরে মন-প্রাণ, কি দারুণ মিঠা।
সকাল বেলা কৃষাণ-কৃষাণীরা, ব্যস্ত হয়ে ছোটে;
যেথায় রয়েছে পাঁকা ধান, মাঠে।
পাঁকা ধানের মিষ্টি সুবাস, চারিদিক মৌ মৌ করে;
খুশিতে কৃষাণী গান ধরে।
মাঝে মাঝে বাবুই পাখি, ধান নিয়ে পালায়;
ছানার জন্য। তারা আছে, দূর তাল গাছের বাসায়।
মেঠোপথে, দূর্বা ঘাসে বিন্দু বিন্দু জমেছে শিশির;
দিচ্ছে ঘোষণা তা, আগমণ বার্তা শীতের।
বরষার প্রমত্তা নদি, কানায় কানায় পূর্ণ ছিল জল;
সদা সে জল করত টলমল।
হেমন্তে সে নদি জীর্ণশীর্ণ, কঙ্কাল সার;
নদির চরে কাঁশবন, আর নানা ফসলের সমাহার।
শরতের শেফালী আজ ধরণী 'পরে, পরছে ঝরে;
পিপীলিকার দল লুকিয়ে যাচ্ছে, নিজ ঘরে।
সবুজ পত্ররাজি ধরনীরে জানিয়ে শেষ অভিবাদন;
করছে বিদায় জ্ঞাপন।
শীতের আগমনী বার্তা সবার ঘরে ঘরে;
সবাই প্রস্তুত লেপ মুড়ি দিয়ে, শীতের পিঠার তরে।
তারিখঃ ৩১-১০-২০২২ ইং;