ক্ষুধার জ্বালা, বড় জ্বাল, যায়না মুখে বলা;
       এ জ্বালায় সকল প্রাণীকুল, হয় উতলা।
  শিশু জন্মের সাথে সাথে, তারস্বরে করে চিত্‍কার;
                    সে চাহে খবার।
             মায়ের স্তন মুখে দিলে তার
    নিবৃত্ত হয় ক্ষুধা, বন্ধ হয়ে যায়, তার হাহাকার।


    ক্ষুধার জ্বালায়, মাতা বেঁচে দেয়, নিজ সন্তান;
           যে আছিল তার, নাড়ি ছেঁড়া ধন।
  এ জ্বালা সইতে না পারি, ইজ্জত বিকায় কিশোরী;
              নইলে উনুনে উঠেনা হাড়ি।
          মান-অপমান, জনতা-পুলিশের মার,
   ভুলে চোর, পেটের তরে করে চুরি, অন্যের ঘর।


   মিঠাতে জ্বালা, পথ শিশু খায়, ডাষ্টবিনের খানা;
        ক্ষুধার এ জ্বালা, মানেনা রাজার মানা।
  মহিষের সিংয়ের গুতায়, বনের রাজার প্রাণ যায়;
                  তবুও ছাড়েনা হায়।
      শিকার ছড়া ক্ষুধা নিবারণের, উপায় কই?
  তাইতো জীবন বাঁচানোর তাগিদেই, শিকার চাই।


    মানব জীবন বিধাতার দান, অতিব মূল্যবান;
          সবাই ভালবাসে নিজ জীবন।
   তারপরও ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে, হায়;
              নিজ জীবন বলি দেয়।
         জঠরের জ্বালা, বড় কঠিন জ্বালা;
উদরপূর্তি ছাড়া, ক্ষুধার জ্বালা, যায়না কভু ভোলা।
          তারিখঃ ৩১-১০-২০২২ ইং;